জীবনে একের পর এক বাধা ও সমস্যা, জ্যোতিষ মতে এই নিয়মগুলি মেনে পান প্রতিকার

  • জীবনের সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য পরামর্শ দেন জ্যোতিষীরা
  • গ্রহ-নক্ষত্র অনুযায়ী সঠিক নিয়মে রত্ন ধারণ করলে ফিরতে পারে আপনার ভাগ্য
  • অনেকের পক্ষেই সব সময় রত্ন ধারণ সম্ভব হয় না
  • ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়েই এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন

Asianet News Bangla | Published : Jun 7, 2020 7:01 AM IST

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে কিছু না কিছু সমস্যা রয়েছে। জীবনের এই সমস্যাগুলোকে সহজেই কাটিয়ে ওঠার জন্য জ্যোতিষীরা নানান রত্ন ধারণের পরামর্শ দেন। তবে রত্ন ধারণে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা গেলেও অনেকের পক্ষেই সব সময় রত্ন ধারণ সম্ভব হয় না। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সঠিক নিয়মে গ্রহ-নক্ষত্র অনুযায়ী রত্ন ধারণ করলে ফিরতে পারে আপনার ভাগ্যও৷ একই সঙ্গে গ্রহ প্রতিকারের জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমান অর্থের, যা সকলের পক্ষে ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।  এই সমস্ত কিছু ছাড়া এমন কিছু নিয়ম আছে যাতে সহজেই আপনি ঘরোয়া কিছু উপকরণ দিয়েই সমস্ত বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলি-

জীবনে একের পর এক বাধা বা সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার অর্থ গ্রহের সমস্যা। কোনও গ্রহের জন্য আপনার জীবনে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে তা জেনে তবে তার প্রতিকার নিন। বুধের প্রকোপ থেকে বাঁচতে খুব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাড়ি বা ঘরে কোথাও নোংরা রাখা যাবে না। সবুজ রং এর পোশাক ও সবুজ খাবার এর পরিমান বাড়াতে হবে। শুক্রের দশা কাটাতে সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাড়ি বা ঘরে কোথাও নোংরা থাকলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। খাওয়ার পাতে দই অবশ্যই রাখতে হবে। মহিলাদের জন্য খুব লম্বা চুল ও পুরুষদের মুখ ভর্তি দাঁড়ি রাখা চলবে না।

রাহু ও কেতুর সমস্যার প্রতিকারের জন্য দুঃস্থের সেবা করুন। আপনার সাধ্য মত দরিদ্রের সেবা করুন। মনে রাখবেন সেবামূলক কাজে মানেই আপনাকে আর্থিক সাহায্য করতে হবে তা নয়। বিপদে তাঁর পাশে থাকুন, সাধ্য মত সাহায্য করুন। তাহলেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন রাহু ও কেতুর প্রকোপ। যদি আপনার চন্দ্রের সমস্যা থাকলে তাহলে ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া যাবে না। খাবার পাতে ফল রাখতে হবে। জলাশয়ে স্নান করতে না নামাই ভালো, বিপদের আশঙ্কা থাকে। তবেই সমস্ত বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবহেন সহজেই। 

যদি আপনার শনির দশা থাকে তবে তা কাটাতে প্রতি শনিবার করে শনি মন্দিরে গিয়ে পুজো দিন। মঙ্গলবার বা শনিবার করে বজরঙ্গবলীর পুজো করুন। খুব দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। মঙ্গলের দোষ কাটাতে খাটে শোয়া ছেড়ে মাটিতে বিছানা করে শুতে হবে। প্রতি মঙ্গল ও শনিবার বজরঙ্গবলীর পুজো ও কালী ঠাকুরের পুজো করতে হবে। একইসঙ্গে খাওয়ার পাতে কাঁচা নুন খাওয়া কমাতে হবে।

দেবগুরু বৃহস্পতির প্রকোপ থেকে বাঁচতে হলুদ রং-এর খাবার বেশি পরিমানে খেতে হবে। সম্ভব হলে নিরামিষ আহার বেশি পরিমানে গ্রহণ করুন। কোনও ধরনের মাংস খাওয়া চলবে না এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।  রবি বা সূর্যের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন সূর্য প্রণাম করা আবশ্যক। যেই ঘরে রোদ আসে সেই স্থানেই খেতে বসতে হবে। এই সময় যতটা সম্ভব ধাতুর ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। 

Share this article
click me!