তিরুপতি বালাজি মন্দির- সারা বছরই ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। দেশের ভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে নিত্যদিনই আসেন অসংখ্য মানুষ। বিদেশ থেকেও আসেন দর্শনার্থীরা। এই মন্দিরে অনেকেই পুজো দেন। আবার অনেকেই আসেন বিশ্বের ধনী মন্দিরের জাঁকজমক দেখতে।
তিরুপতি বালাজি মন্দির- সারা বছরই ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। দেশের ভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে নিত্যদিনই আসেন অসংখ্য মানুষ। বিদেশ থেকেও আসেন দর্শনার্থীরা। এই মন্দিরে অনেকেই পুজো দেন। আবার অনেকেই আসেন বিশ্বের ধনী মন্দিরের জাঁকজমক দেখতে। তবে তিরুপতি বালাজি মন্দিরের বিশেষ একটি রীতি হল চুল দান করা। এখানে প্রায় প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ ন্যাড়া হয়ে দেবতার উদ্দেশ্য নিদের চুল দান করেন। অনেকেই মানদ করেন । কেউ আবার পাপস্খলন করেন। প্রাচীন বিশ্বাস এই মন্দিরে চুল দান করলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। পাপ, অহং থেকে মুক্তি পাওযা যায়।
চুল দানের তাৎপর্য
তিরুপতি মন্দিরে চুল দানের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। প্রাচীন কাল থেকেই বিশ্বাস করা হয় এই মন্দিরে চুল দান করলে ভেঙ্কটেশ্বর ভগবান কুবের কাছে থেকে নেওয়া ঋণ শোধ হয়ে যায়। বিশ্বাস করা হয় মন্দিরে চুল দান করলে ভগবানের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। আপনি যে পরিমান চুল দান করবেন ভগবান তারচেয়ে ১০ গুণ অর্থ আপনাকে ফিরিয়ে দেয়। কথিত রয়েছে এই মন্দিরে চুল দান করলে মা লক্ষ্মীর কৃপা পাওয়া যায়। নারী পুরুষ থেকে শুরু করে শিশুরাও এই মন্দিরে চুল দান করেন।
প্রাচীন বিশ্বাস
প্রাচীনকালে একবার ভগবান বালাজি দেবতার ওপর পিঁপড়ের পাহাড় তৈরি হয়েছিল। সেখানে একটি গরু রোজ যেত আর পিঁপড়ের পাহাড়ে দুধ দিয়ে আসত। এটা দেখে গরুর মালিখ খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছিল। গরুর মাথায় একটু কুড়ুল দিয়ে মারে। তাতে আঘাত পান ভগবান বালাজি। তাঁর কিছু চুলও পড়ে যায়। তারপরই নীলাদেবী চুল কেটে তাঁর ক্ষতস্থানে রেখে দেন। এতে খুশী হয়ে নারায়ন নীলাদেবীকে আশীর্বাদ করেন। তারপর বলেন চুল মানুষের সৌন্দর্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যে ব্যক্তি চুল দান করবেন সেই ব্যক্তিকে তিনি আশীর্বাদ করবেন। মানস্কামনা পূর্ণ হবে সেই ব্যক্তির। সেই বিশ্বাস থেকেই বালাজি মন্দিরে চুল দান করার প্রথা রয়েছে।
বালাজি মন্দিরে চুল দান
প্রতি বছর কয়েক লক্ষ কেজি চুল দান করা হয় বালাজি মন্দিরে। বিশ্বার মানুষ আসেন এই মন্দিরে। অনেকেই ন্যাড়া হয়ে দেবতাকে শ্রদ্ধা জানান। প্রতি বছর ৫০০-৬০০টন চুল দান করা হয়। সেগুলি বিক্রি করে মন্দির কর্তৃপক্ষ লাভবান হয়। চুলের নিমালও করে এই মন্দির কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের নিয়ম অনুযায়ী স্থান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরে এখানে মানুষ ন্যাড়া হয়। এখানে মানুষকে ন্যাড়া করার জন্য ৬০০ জন কাজ করেন। প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার মানুষ ন্যাড় হয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে কর্মযোজ্ঞ।
চুলের ব্যবহার
বালাজি মন্দিরের চুল আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি হয়। এখানকার চুল থেকে ইউগ তৈরি হয়। যা ইউরোপের বাজারে খুবই জনপ্রিয়।