জন্মাষ্টমীর কয়েকদিন পরেই পালন করা হয় শ্রীমতি রাধিকার জন্মতিথি উৎসব। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রাধা জন্মগ্রহণ করেন। এবং আজ সারা দেশজুড়ে পালন করা হচ্ছে রাধাষ্টমীর উৎসব।
জন্মাষ্টমী হল হিন্দুদের অন্যতম প্রধান উৎসব। গোকূলে দেবকীর অষ্টম গর্ভে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম দিনে বা অষ্টম তিথিতে জন্ম হয় কৃষ্ণের। এরপরই এই তিথির মাহাত্ম্য বৃদ্ধি পায় অনেক বেশি। এই তিথির আর এক নাম গোকূল অষ্টমী। এই জন্মাষ্টমীর কয়েকদিন পরেই পালন করা হয় শ্রীমতি রাধিকার জন্মতিথি উৎসব। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রাধা জন্মগ্রহণ করেন। এবং আজ সারা দেশজুড়ে পালন করা হচ্ছে রাধাষ্টমীর উৎসব।
শাস্ত্র মতে, কৃষ্ণের জন্মদিনের ১৫ দিন পর শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মথুরায় পবিত্র বারসনায় রাজা বৃষভানু এবং তার স্ত্রী কীর্তি স্বর্ণপদ্মের উপর শ্রীরাধাকে পেয়েছিলেন। এবং চলতি বছরে ১৪ সেপ্টেম্বর সারা দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রাধাষ্টমী উৎসব। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, রাধাষ্টমীর দিন উপবাস রাখলে এবং রাধিকার আরাধনা করলে জীবনে সুখ-শান্তি লাভ করা যায়। এই রাধাষ্টমী পুজোর কিছু নিয়মও রয়েছে। নিষ্ঠাভরে রাধাষ্টমীর পুজো করলে দুঃখ-দুর্দশাও দূর হয়। জেনে নিন রাধাষ্টমী ব্রত কিছু নিয়মসূচী।
আরও পড়ুন-অ্যাকোরিয়াম কেবল সৌন্দর্য নয়, পরিবারে সুখ বয়ে আনতেও মোক্ষম উপাদান, জানুন বাস্তু টিপস
আরও পড়ুন-হাতে এক মাসেরও কম সময়, সন্ধিপুজো থেকে অষ্টমী আরতী, চটজলদি জেনে নিন এবার দুর্গাপুজোর নিঘন্ট
রাধাষ্টমীর দিন রাধা ও কৃষ্ণের মূর্তি পাশাপাশি বসিয়ে প্রথম রাধার পুজো ও পরে কৃষ্ণের পুজো করবেন।
রাধাষ্টমীর ব্রত নিষ্ঠাভরে পালল করলে দুঃখ-দুর্দশা দূর হয়।
রাধাষ্টমীর ব্রত পালন করলে গৃহে কোনও অভাব থাকে না। সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়।
রাধাষ্টমীর ব্রত পালন করলে পরম শান্তি লাভ হয় বলেই বিশ্বাস করা হয়।
রাধাষ্টমীর ব্রত পালনে সমস্ত অন্ধকার কেটে গিয়ে অমঙ্গল দূর হয়, এবং জীবনে নেমে আসে শান্তি।
রাধার নাম সর্বদাই শ্রীকৃষ্ণের আগে উচ্চারিত হয়। শাস্ত্রে কথিত আছে, একবার রাধানাম উচ্চারণ করলে শ্রীকৃষ্ণ সন্তুষ্ট হন।
রাধাষ্টমীর দিন উপোস করলে এবং একমনে নিয়ম মেনে পুজো করলে সমস্ত পাপস্খলন হয় বলেই মানা হয়।