সামনেই দেবীপক্ষ, মায়ের কৃপাদৃষ্টি পেতে ও সংসারে সুখ ফেরাতে এই নিয়ম মানতে ভুলবেন না

আসছে দেবীপক্ষ, তিন চার মাস আগে থেকেই, ভক্তদের মনে একটাই প্রার্থণা, সকলেই সুস্থ থাকুক, পরিবারে শান্তি থাকুক। আর দেবী পক্ষের পূর্ণলগ্নে এমনই কিছু নিয়ম পালন করলে তা সম্ভবপর। 

Jayita Chandra | Published : Sep 14, 2021 3:47 AM IST

সারা বছর অপেক্ষায় থাকা কবে মায়ের আগমন ঘটবে ধরিত্রীতে। শারদীয়ার গন্ধে ভরে উঠবে আকাশ বাসাত। মায়ের পুজোর সেই আয়োজনে মেথে থাকা তিন চার মাস আগে থেকেই, ভক্তদের মনে একটাই প্রার্থণা, সকলেই সুস্থ থাকুক, পরিবারে শান্তি থাকুক। আর দেবী পক্ষের পূর্ণলগ্নে এমনই কিছু নিয়ম পালন করলে তা সম্ভবপর। 

দেবীপক্ষে কিছু নিয়ম পালনের মাধ্যমে মানুষ সকল পাপ থেকে মুক্তি পায় বলে মনে করা হয়। দেবীপক্ষে মা দুর্গার উপাসনা আশীর্বাদ নিয়ে আসে জীবনে। এছাড়া অত্যন্ত পুণ্য লাভ হয়ে বলে মনে করা হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে দেবীপক্ষে উপবাস করে অষ্টমি তিথি শেষ নবমী তিথিতে কুমারী পুজো করলে দীর্ঘায়ু লাভ হয়। অর্থাৎ তাদের আয়ু বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশী জীবন ধারায় কোনও বিরাট সমস্যার সম্মুখীণ হতে হয় না। দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদে থাকা যায়। 

এছাড়া দেবীপক্ষে সূর্যোদয়ের আগে উঠে স্নান সেরে সূর্য প্রণাম করা উচিৎ। যদিও এই বছর মহামারীর কারণে মন্দির দর্শন এবং তীর্থযাত্রীদের গঙ্গাস্নান এড়ানো উচিত। এই দিনে ঘরেই স্নান সেরে দুই ফোঁটা গঙ্গা জল ছিটিয়ে নিন। এই পবিত্র তিথিতে, মাটির পাত্রটিতে জল দিয়ে পূর্ণ করুন। এতে কিছুটা আতপ চাল ও পঞ্চশষ্য এবং কিছু মুদ্রা রেখে লাল কাপড় দিয়ে বেঁধে দিন। তারপরে ঠাকপর ঘরে রেখে দিন। দশমীতে মাকে বরণ করার সময় পায়ের পায়ে এই পাত্র ছুঁয়ে নিয়ে আসুন।

মনে করা হয় দেবীপক্ষে এই নিয়ম পালনে উপবাসকারী সংসার সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে। পুরাণ অনুসারে, এই দিনটিতে তিল, শস্য এবং জল দান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অনুদানগুলি সোনার, রৌপ্য, হাতি এবং ঘোড়ার অনুদানের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য ও জল দান করে মানুষ, দেবতা, পূর্বপুরুষরের সকলেই তৃপ্তি পান। ফলে জীবনের যাবতীয় সমস্যা ও বাধা বিপত্তি কেটে যাওয়ার সম্ভানা থাকে।

Share this article
click me!