আজ রামনবমীর পুন্য তিথি। এদিন বেলা ১১টা বেজে ৬ মিনিট থেকে ১টা ৩৯ পর্যন্ত থাকবে পূজোর শুভক্ষণ। রামনবমী শেষ হওয়ার পরি আসে চৈত্র নবরাত্রী। এটি শুরু হচ্ছে ১০ এপ্রিল
রবিবার ১০ এপ্রিল রামনবমীর পুন্য তিথি। হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসবগুলির অন্যতম। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী এদিনই মর্তে আবির্ভাব হয়েছিল পুরুষোত্তম শ্রীরামের। তাই এই দিনটি খুবই শুভ দিন হিসেবে গ্রহণ করা হয়। পুরাণ অনুযায়ী চৈত্রমাসের শুক্রপক্ষে নবমী তিথিতে ভগবান শ্রীরামের জন্ম হয়েছিল। প্রতি বছরই এই দিনটি রামের জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়।
রবিবার অর্থাৎ আজ রামনবমীর পুন্য তিথি। এদিন বেলা ১১টা বেজে ৬ মিনিট থেকে ১টা ৩৯ পর্যন্ত থাকবে পূজোর শুভক্ষণ। রামনবমী শেষ হওয়ার পরি আসে চৈত্র নবরাত্রী। এটি শুরু হচ্ছে ১০ এপ্রিল (রবিবার) ১টা ২৩ মিনিট থেকে ১১ এপ্রিল (সোমবার) ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত। এই বিশেষ দিনে শ্রীরামকে অবশ্যই জাফরান বা কেশর দিয়ে পুজো করুন।
পুরাণ অনুযায়ী রামের জন্ম হয়েছিল অযোধ্যা। এই শহরের রামনবমী ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয়। বিশ্বের নানা স্থান থেকে রামভক্তরা এই বিশেষ দিনে এই পবিত্র শহরে আসেন। এখানের একাধিক মন্দিরে ধুমধামের সঙ্গে রামনবমী পালন করা হয়। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী রাম হলেন ভগবান বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। তাই এই বিশেষ দিনে রামের মন্ত্রগুলি জপ করা জন্য অত্যান্ত শুভ। এই দিনে রামের ও কৃষ্ণের মন্ত্র জপ করতে পাপমুক্ত হয়। স্বাস্থ্য ও অর্থের শ্রীবৃদ্ধি হয়। সাফল্যেই এই দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
এই বিশেষ দিনটিতে আপনি আপনার বাড়িতে ছোট্ট করে একটি যজ্ঞ করতে পারেন। তাতে পরিবারের সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকবে। এই বিশেষ দিনে রাম যন্ত্র স্থাপন করতে পারেন। এটি সমৃদ্ধির প্রতীক। তবে রামযন্ত্র স্থাপনের সময় পূর্ব দিকে মুখ করে বসুন। তারপর শ্রীরামকে স্মরণ করুণ। তারপর চোখ বন্ধ করে ওম শব্দটি উচ্চারণ করুন। একবার শ্বাস গ্রহণ করে সেটি ধরে রাখুন। শ্রীরামকে স্মরণ করে বাম নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়পন। এভাবে ৬ বার করার পরই ১০৮বার রাম নাম জপ করুন। তারপই বাড়িতে স্থাপন করুন রামযন্ত্র। এতে দাম্পত্য সুখের হবে।
বিদ্যাক্ষেত্রে সুফল পেতে হয়ে শুধুমাত্র পূর্বদিকে মুখ করে ১০৮বার রাম নাম জপ করতে হবে। আর্থিক লাভের জন্য কিন্তু রামযন্ত্র স্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি রাম নামও জপ করতে হবে।