মানব জীবনে শনির সাড়ে সাতির প্রভাব

  • শনির সাড়ে সাতি দশা মানুষের জীবনে ভয়াবহ সমস্যার সৃষ্টি করে
  • রাশিচক্রে শনি তিনটি রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগে সাড়ে সাত বছর
  • এই সময়টিকে শনির 'সাড়ে সাতি' বলা হয়
  • সাড়ে সাতি জন্ম কুণ্ডলিতে তিনবার ফিরে আসে

deblina dey | Published : Aug 11, 2019 5:58 AM IST

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, শনির সাড়ে সাতি দশা মানুষের জীবনে ভয়াবহ সমস্যার সৃষ্টি করে। শনি গ্রহ চন্দ্ররাশির দ্বাদশ, প্রথম ও দ্বিতীয় ঘর অতিক্রম করে সেই সময়কালকে শনির সাড়ে সাতি বলা হয়। রাশিচক্রে শনি প্রত্যেকটি রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগে আড়াই বছর। তিনটি রাশি অতিক্রম করতে সময় লাগে মোট সাড়ে সাত বছর। আর এই সাড়ে সাত বছর সময় লাগে বলেই এই সময়টিকে শনির 'সাড়ে সাতি' বলা হয়।
শনির সাড়ে সাতির প্রভাবের ফলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিণ হতে হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, সাড়ে সাতি জন্ম কুণ্ডলিতে তিনবার ফিরে আসে। প্রথমবার শিক্ষায় সমস্যা সৃষ্টি করে। দ্বিতীয়বার জীবিকা ও অর্থ সংকটের সমস্যার সৃষ্টি করে। আর তৃতীয় বার স্বাস্থ্য এবং গুরুজনদের মৃত্যু অবধি এনে দিতে পারে এই সাড়ে সাতি দশা। শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কিন্তু জন্ম কোষ্ঠীতে তখনই পড়ে যখন কোষ্ঠী দুর্বল হয়। যার অর্থ জন্ম কোষ্ঠীর সবলতা ও দুর্বলতা অনুযায়ী জাতক বা জাতিকার উপর সাড়ে সাতির প্রভাব পড়ে। বৃশ্চিক, ধনু ও মীন রাশির জাতকদের ক্ষেত্রে সাড়ে সাতি চলাকালীন পাঁচ বছর সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে শনির সাত বছরের মধ্যে মাত্র আড়াই বছর খারাপ ফল দেয়। এই সাড়ে সাতি চলাকালীন জাতক বা জাতিকা নিজের জীবনকে বিচার করার, বিশ্লেষণ করার সুযোগ পায় বলে মনে করেন জ্যোতিষীরা। 
শাস্ত্র মতে, শনি সাড়ে সাতির শুরুতে প্রথমে জাতকের মাথায় আরোহণ করে, মধ্যভাগে ধড় এবং শেষে পায়ে নেমে এসে শরীর ত্যাগ করে চলে যায়। সাড়ে সাতির পূর্ণ সময়কে মোট ৯০ মাসের মধ্যে ২৫ মাস অশুভ পরিণাম দেয়। বাকি ৬৫ মাস কিছুটা ঠিক থাকে। তাই শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কমানোর জন্য জ্যোতিষশাস্ত্রে শনি দেবকে তুষ্ট করার কথা লেখা আছে। এই সময়ে কালো অগুরুর ধূপ জ্বালিয়ে শনি মন্দিরে পরপর আটটি শনিবার পূজা দিলে শনির প্রকোপ অনেক কমে আসে। শনিবার দিন সীসা ধারণ করলে শনিদেবের কোপ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

Share this article
click me!