কালীপুজো পেরোলেই ভাইফোঁটা। ছোট বেলা থেকেই যতোই ভাই বোনেদের মারপিঠ, ছোট খাট ঝামেলা হোক,সারাবছর ধরেই বোধয় ভাইফোঁটার জন্য় সবাই অপেক্ষা করে থাকে। যাই হোক, ভাইয়ের মঙ্গল কামনাতেই যমের দুয়ারে ফোঁটা দেওয়ার পালা। আর ছোট কুট্টি বোনও অনায়াসে উপোস করে থাকতে পারে তার আদরের ভাইয়ের জন্য। সব মিলিয়ে দিনটা ভাই-বোনের জন্য একেবারেই বিশেষ দিন। কিন্তু এত কিছুর পরও কোথাও যেন একটা ফাঁক রয়ে যায়। না না আয়োজনে নয়, অজান্তেই কোনও ভূলের জন্য় অসুবিধায় পড়তে হয় পরিবারকে। বাস্তুমতে অবশ্য়ই এই মুশকিল আসান করা সম্ভব। তাই ভাইফোঁটাকে আরো সুন্দর করে তুলতে বাস্তুর কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে জেনে নিন-
আরও জানুন, দীপাবলির দিন কোন কোন রাশির আর্থিক উন্নতির যোগ রয়েছে, দেখে নিন
১। ভাইফোঁটা দেবার সময় যদি ঠাকুর ঘরে বসেন, তাহলে ঠাকুরের সিংহাসনের দিকে মুখ করে বসুন। ভূল করেও অন্য় কোনও দিক মুখ করে বসবেন না, তাহলে সম্পর্কে খারাপ প্রভাব পড়বে।
২। অনেকসময় ভাইরা অনেক দূরে থাকেন। আর সেই জন্য় অনেক দিদি বা বোনেরা প্রচলিত মতে ঘরের দেওয়ালে ভাইয়ের মঙ্গল কামনাতেই যমের দুয়ারে ফোঁটা দেন। বাস্তু মতে এটা আপনার ঘরের যেখানে পুজো দেওয়া হয়, সেই স্থানই সবচেয়ে শুভ।
৩। দিদি বা বোনেরা ঘরের পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক করে বসুন। কারন বাস্তু মতে এই দিক থেকে পজিটিভ এনারর্জী অনেক বেশি পরিমানে আসে।
৪। ভাইফোঁটা দেবার সময় ভূল করেও খালি মেঝেতে বসবেন না। কারন বাস্তুমতে ভাইফোঁটা দেবার পর সেই শুভ শক্তি আপনার শরীর থেকে আর্থিং করে বাইরে বেরিয়ে যায়। এক্ষেত্রে কাঠের পিড়ি হলে সবথেকে ভাল হয়।
আরও পড়ুন, জানেন কি কত রূপে পূজিত হন মা কালী, দেখে নিন মায়ের বিভিন্ন রূপ
৫। বাস্তু মতে ভাইফোঁটা দেবার সমস্ত সামগ্রী আপনি ধাতব থালায় রাখুন। কাঁসা বা পিতলের থালাতে থাকলে সবচেয়ে মঙ্গলজনক হবে।
আশা করা যায় বাস্তুর নিয়ম , এই ভাবে মেনে চললে ভাইফোঁটাকে আরো সুন্দর করে তুলতে পারবেন।