কোনও পুজোয় সুফল তখনই মেলে যখন আরাধ্যা ঈশ্বর তাঁর ভক্তের উপর প্রসন্ন হন। ঠিক এই কারনেই লক্ষ্মী পুজোয় পাঁচালী পড়া লক্ষ্মী পুজোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর প্রকৃষ্ট সময় প্রদোষকাল। অর্থাৎ সূর্যাস্ত থেকে দু ঘণ্টা পর্যন্ত যে সময়। যদিও প্রদোষ থেকে নিশীথ অবধি তিথি থাকলেও সেই প্রদোষেই পুজো বিহিত হয়। কিন্তু আগের দিন রাত্রি থেকে পরদিন প্রদোষ পর্যন্ত তিথি থাকলে পরদিন প্রদোষেই পুজো করা বিধেয়।
আরও পড়ুন- কার্তিক মাস কেমন প্রভাব ফেলবে কন্যা রাশির উপর, দেখে নিন
আবার আগের দিন রাতে তিথি থাকলেও যদি পরদিন প্রদোষে তিথি না থাকে তাহলে আগের দিন প্রদোষেই পুজো বাঞ্ছনীয়। একই ভাবে লক্ষ্মীপুজোয় পাঁচালী পাঠ করাও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচালী পাঠ ছাড়া অসম্পূর্ণ থেকে যায় কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। শাস্ত্র মতে মনে করা হয় লক্ষ্মীর পাঁচালী পাঠ করলে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি, ব্যবসায় উন্নতি, কর্মক্ষেত্রে উন্নতি, স্বপ্নপূরণ, খারাপ শক্তির প্রভাব থেকে রক্ষা, বিপদ থেকে মুক্তি ঘটে। একইসঙ্গে ঋণমুক্তি, বসত ভিটায় প্রাচুর্যের সমাহার ঘটে।
লক্ষ্মীর পাঁচালী বইয়ে দেবীকে আরাধনা করার সমস্ত মন্ত্র লেখা আছে, তাতে দেবী আহ্বান মন্ত্র রয়েছে, সেই মন্ত্র উচ্চারণ করে ঘটে ও দেবীর পায়ে ফুল দিয়ে তাঁর অর্চনা শুরু করুন। হাতে ফুল নিয়ে পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র উচ্চারণ করুন। এরপর শাঁখ বাজিয়ে লক্ষ্মীর পাঁচালী পড়ে সংসারের মঙ্গল কামনা করুন। সংসারের মঙ্গল কামনায় ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়ে থাকে। এই বইয়ের মাহ্যত্ব তাই বাংলার ঘরে ঘরে আজও চিরন্তন এক প্রথা।