বাস্তুতে কিছু নিয়ম পালন করে কু-নজর এড়ানো যায় সহজেই। সার্বিক উন্নতি ও কু-নজর মুক্ত বাড়ি রাখতে মেনে চলুন বাস্তুর এই নিয়মগুলি।
বাস্তুশাস্ত্র (Vastu), এই বাস্তু শব্দটি এসেছে বস্তু থেকে। বাস্তু বলতে সব কিছুকেই বুঝায়- তা একটি স্থান হতে পারে- কিংবা একটা বাড়িও (Home) হতে পারে। সভ্যতার শুরু থেকেই ভারতীও উপমহাদেশে শিল্পচর্চাকে ঊর্ধ্বে স্থান দেয়া হয়েছে। স্থাপত্যশৈলী উপবেদের অন্যতম বিষয়। স্থাপত্য উপবেদ বা স্থাপত্যশাস্ত্র চারটি উপবেদের অন্যতম। প্রায় ৫০০০ বছর ধরে বাস্তুবিদ্যা কালের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামে জয়ী হয়েছে।
বাড়ির সমস্ত বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কিত বিধিগুলি বাস্তুশাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে। যদি এই নিয়মগুলি যত্ন নেওয়া হয় তবে বাড়ির অনেক স্থাপত্য ত্রুটিগুলি দূর করা যায়। জিনিসগুলি যদি ভুল জায়গায় বা ভুল দিকে রাখে তবে বাড়ীতে নেতিবাচকতা বাড়ে। বাস্তুবিশারদদের মতে, ঘরে বসে জেনে নিন ৫ টি শুভ বিষয় এবং শুভ দিক। এই জিনিসগুলি ঠিক জায়গায় রাখলে ঘরে ইতিবাচক শক্তি বাড়ায়। অশুভ শক্তি বা কু-দৃষ্টির কারণে বাড়িতে বসবাসকারী সদস্যদের সমস্যা হয়। পাশাপাশি কাজে বিঘ্নও দেখা দেয়। মনে করা হয়, বাস্তুতে কিছু নিয়ম পালন করে এই কু-নজর এড়ানো যায় সহজেই। সার্বিক উন্নতি ও কু-নজর মুক্ত বাড়ি রাখতে মেনে চলুন বাস্তুর (Vastu Tips) এই নিয়মগুলি।
আরও পড়ুন: Gold price today - দিওয়ালির আগে সোনার দামে বড়সড় পতন, জেনে নিন আজকের সোনা-রূপোর দর
প্রদীপ, ধূপ-ধূপের কাঠি ইত্যাদির মতো উপাসনায় ব্যবহৃত জিনিসগুলি ঘরের অগ্নি কোণে অর্থাৎ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখতে হবে। তুলসী গাছ যদি বাস্তুর বা ঘরের সঠিক দিকে না রাখা হয় তবে বাড়ির স্থাপত্য ত্রুটিগুলি বৃদ্ধি পায়। বাড়ির ছাদে বা উঠোনের উত্তর-পূর্ব দিকে তুলসী গাছ লাগানো শুভ হিসেবে বিবেচিত হয়। একই সঙ্গে কোনও পাহাড় বা উড়ন্ত পাখির ছবি হল ঘরে বা বসার ঘরে রাখলে তা শুভ বা পজেটিভ শক্তি বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া চুল এবং রাধা-কৃষ্ণ সহ শ্রীকৃষ্ণের একটি ছবি হল বা শোওয়ার ঘরেও রাখা যেতে পারে।
সূর্য দেবতার সঙ্গে সাতটি ঘোড়ার ছবি শুভ বলে বিবেচিত হয়। এই ছবিটি কেবল পূর্ব দিকের দিকে স্থাপন করা উচিত। এটি ঘরে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। কারণ পূর্ব থেকে সূর্যোদয় ঘটে। আপনি যদি ভগবান গণেশের কোনও মূর্তি বা ছবি রাখতে চান তবে সিন্দুরি গণেশের একটি ছবি বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে স্থাপন করা উচিত। আপনি যদি মূর্তিটি রাখতে চান তবে বাড়িতে বা মন্দিরের উত্তর-পূর্ব দিকে রাখা খুব মঙ্গলজনক।