বেদ অনুযায়ী, সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদ ছাড়া কোনও ধর্মীয় সিদ্ধি সম্ভব নয়। তাই যে কোনও পুজোর আগেই গণেশ পুজো করা হয়।
গণেশ সিদ্ধির (Ganesh) দেবতা ব্যবসায় সাফল্য পেতে গণেশ মূর্তি রাখার নির্দেশ দেন বিশেষজ্ঞরা। গণেশ শব্দটির উৎপত্তি দুটি সংস্কৃত শব্দ থেকে। 'গণ' ও 'ঈশ'এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়ে গণেশ শব্দটি। গনপতির প্রথম উল্লেখ পাওয়া গিয়েছিল প্রচীন হিন্দুধর্ম গ্রন্থ ঋগ্বেদে। বেদ অনুযায়ী, সিদ্ধিদাতার আশীর্বাদ ছাড়া কোনও ধর্মীয় সিদ্ধি সম্ভব নয়। তাই যে কোনও পুজোর আগেই গণেশ পুজো করা হয়।
তাই অফিসে (Office) বা ব্যবসার স্থানে গণেশ-এর মূর্তি বা ছবি স্থাপনের সময় অবশ্যই মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি। ব্যবসার স্থানে গণেশ-এর দাঁড়ানো অবস্থায় রয়েছে এমন ছবি বা মূর্তি রাখুন। যার দুটো পা মাটি স্পর্শ করে রয়েছে। সাদা রং এর গণেশ-এর প্রতিকৃত বা মূর্তি ব্যবসার স্থানের জন্য অত্যন্ত শুভ। অফিসের বা ব্যবসার প্রধান প্রবেশ পথের মুখোমুখি গণেশের মূর্তি বা ছবি স্থাপন করা দরকার। যাতে বাইরে থেকে ব্যবসার স্থানে কোনও নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে না পারে।
আরও পড়ুন: Vastu Tips- রোজগার হলেও হচ্ছে না সঞ্চয়, এবার মেনে চলুন এই বাস্তু নিয়ম
আরও পডুন: ভাগ্য বদলে ফেরান সৌভাগ্য, সব সময় সঙ্গে রাখুন এই বস্তুগুলি
গণেশ (Ganesha) মূর্তি বা ফটো স্থাপনের আগে সেই জায়গা পরিষ্কার করে নিয়ে, শুদ্ধ কাপড়ে ঠাকুর স্থাপন করে মন্ত্র উচ্চারণ করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যে কোনও পঞ্জিকায় এই মন্ত্র সহজেই পাওয়া যাবে। এরপরেই ধূপ জ্বালিয়ে আরতি করে গণেশ (Ganesha) বন্দনা করুন। মূর্তিতে লাল চন্দনের টিকা দিয়ে, নারকেল ভেঙ্গে বাড়ির অশুভ শক্তি দূর করুন। ঠাকুরের সামনে প্রদীপ (Diya) জ্বালিয়ে দিনে অন্তত তিনবার আরতি করতে হবে। এরসঙ্গে মোদক, লাড্ডু, ভোগ নৈবেদ্য নিজের সাধ্য মত দিয়ে সেরে ফেলুন গণেশ পুজো। প্রতি বৃহস্পতিবারে এই নিয়ম মেনে চললে দ্রুত ব্যবসায় উন্নতি লাভ সম্ভব।
হিন্দু সম্পদ্রায়ে সিদ্ধি, বিঘ্ননাশকারী, অর্থ (Income) জ্ঞানের দেবতা রূপে পূজিত হন গণেশ (Ganesha)। মানসিক শক্তি (Mental Happiness), পরিবারে সুখ-শান্তি, উপার্জন বৃদ্ধির দেবতা এই গনপতি। হিন্দুশাস্ত্র (Hindu Shastra) মতে মনে করা হয়, যিনি প্রতিদিন গণেশের স্তোত্র পাঠ করেন, তাঁর সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর করা হয়। তাই যে কোনও ভালো তিথিতেই গণেশ লক্ষ্মী পুজিত হন। পরিবার থেকে অর্থ সুখ সমৃদ্ধির সঙ্গে গণেশের কৃপাদৃষ্টি জড়িয়ে, আর সেই কারণেই মনকে শান্ত রাখতে, ভালো থাকতে বিশেষ তিথিতে এই পুজো করে থাকেন অনেকেই। এতে শান্তি ফেরে পরিবারে।