শুধু ভাই বা দাদাকেই নয়, রাখি পূর্ণিমায় রাখি পরান শ্রীকৃষ্ণ-গণেশ-হনুমানকেও

আজ রাখি পূর্ণিমা।  এই পবিত্র দিনে ভাই বা দাদাকে রাখি পরানোর পাশাপাশি হনুমানজি, গণেশ, মহাদেব ও শ্রীকৃষ্ণকে রাখি পরান। দেখবেন আপনার জীবনের সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 

Asianet News Bangla | Published : Aug 22, 2021 8:07 AM IST / Updated: Aug 22 2021, 01:52 PM IST

আজ রাখি পূর্ণিমা। আজকের দিনে ভাই বা দাদার মঙ্গল কামনায় তাঁদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন দিদি বা বোন। আর এদিনই বোন বা দিদিকে সারাজীবন সব ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা করার  প্রতিশ্রুতি দেন ভাই বা দাদারা। তবে শুধুমাত্র ভাই বা দাদাকেই নয় যে কোনও কারও মঙ্গল কামনায় যে কাউকে রাখি পরানো যায়। এতে কোনও সমস্যা নেই। তবে এই পবিত্র দিনে ভাই বা দাদাকে রাখি পরানোর পাশাপাশি হনুমানজি, গণেশ, মহাদেব ও শ্রীকৃষ্ণকে রাখি পরান। দেখবেন আপনার জীবনের সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। 

হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতিবছর শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমায় রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়। এ বছর ২১ অগাস্ট সন্ধে ৭টায় পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে এবং রবিবার সন্ধে ৫টা ৩১ মিনিটে শেষ হবে। ফলে এই সময়ের মধ্যে যখন সময় পাবেন তখনই রাখি পরাতে পারেন। 

গণেশ 

সবার আগে গণেশকে রাখি পরান। হিন্দু ধর্ম মতে প্রথম পুজো করা হয় গণেশকে। তাই তাঁকেই সবার আগে রাখি পরাতে পারেন। এছাড়া গণেশের প্রিয় রং হল লাল। তাই তাঁকে লাল রঙের রাখি পরান। দেখবেন এতে আপনার পরিবারের সব সমস্যা দূর হবে। পরিবারে শান্তি ও সুখ ফিরবে। 

হনুমানজিকে রাখি পরান

কথায় বলে যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হনুমানজিকে স্মরণ করুন। হনুমানজি সব সমস্যা দূর করে দেবে। তাই রাখি পূর্ণিমার দিন তাঁকে রাখি না পরালে কখনও হয়! তাঁকে লাল রঙের রাখি পরান। দেখবেন ভাই-বোনের মধ্যে সম্পর্ক অটুট থাকবে। এছাড়া প্রচলিত আছে যে রাখি পূর্ণিমার দিন হনুমানজিকে রাখি পরালে মঙ্গল গ্রহের দোষের প্রভাবও কম হয়। আর জীবনের সব বাধাও কেটে যায়। আর রাখি পরানোর পর হনুমান চাল্লিশা পড়তে ভুলবেন না।

শিবকে রাখি পরান

রাখি পূর্ণিমার মতো পবিত্র দিনে শিবকে রাখি পরান। দেখবেন মহাদেব আপনার সব মনোস্কামনা পূর্ণ করবেন। এই সব দেবতাকে রাখি পরানোর জন্য মন্দিরে যাওয়ার তেমন কোনও প্রয়োজন নেই। বাড়িতেই যদি ওই দেবতাদের মূর্তি বা ছবি থাকে সেখানে রাখি পরিয়ে দিন। তাহলেই হবে। আসলে মনের ভক্তিই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

শ্রীকৃষ্ণকে রাখি পরান

মহাভারতে দ্রৌপদীকে নিজের বোন স্বীকার করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যখন দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণ করা হচ্ছিল তখন তাঁকে বাঁচিয়েছিলেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। তাই নিজের দাদার মতোই এদিন শ্রীকৃষ্ণকে রাখি পরান। দেখবেন যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে শ্রীকৃষ্ণ আপনাকে রক্ষা করবে। যাঁদের ভাই বা দাদা নেই, তাঁরা মন খারাপ না করে এই সব দেবতাদের রাখি পরাতে পারেন।

Share this article
click me!