বর্তমানকালে বাস্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে। কু-দৃষ্টির ফলে যেমন স্বাস্থ্যহানী হয়, একই রকমভাবে আর্থিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অশুভ শক্তি বা কু-দৃষ্টির কারণে বাড়িতে বসবাসকারী সদস্যদের সমস্যা হয়। পাশাপাশি কাজে বিঘ্নও দেখা দেয়। মনে করা হয়, বাস্তুতে কিছু নিয়ম পালন করে এই কু-নজর এড়ানো যায় সহজেই। সার্বিক উন্নতি ও কু-নজর মুক্ত বাড়ি রাখতে মেনে চলুন বাস্তুর এই নিয়মগুলি।
আরও পড়ুন- গোপনে অনেকেই অপছন্দ করেন আপনাকে, রাশি অনুযায়ী জেনে নিন সেই কারণ
বাস্তুশাস্ত্র ঘরের নেতিবাচক শক্তি অপসারণ এবং ইতিবাচক শক্তি বাড়ানোর পরামর্শ দেয়। বাস্তু দোষ যে বাড়িতে হয় সেখানে নেতিবাচকতা বজায় থাকে। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাস্তু ত্রুটি দূর করতে ঘরে পিরামিডও রাখা উচিত। ইতিবাচকতা বাড়ানোর জন্য বাস্তুর কয়েকটি বিশেষ জিনিস জেনে নিন -
১) একাগ্রতা বৃদ্ধিত জন্য এবং ঘরে ইতিবাচকতা বাড়ানোর জন্য ঘরে পিরামিড রাখতে পারেন। মনে রাখবেন পিরামিডটি খুব শুভ যদি তা তামা, পিতল বা পঞ্চধাতুর হয়। ঘরে কখনও আয়রন বা অ্যালুমিনিয়ামের পিরামিড রাখবেন না। বাড়িতে রাখার জন্য কাঠের পিরামিডগুলিও খুব শুভ মনে করা হয়।
২) ঘরের বিশুদ্ধতা বজায় রাখতে গঙ্গার জলের একটি ঘট রাখতে হবে। বাড়ির মূল প্রবেশপথে আমের পাতাগুলি বেঁধে দরজার উপর থেকে ঝুলিয়ে দিন। এর শুভ প্রভাবের কারণে, ইতিবাচক শক্তি ঘরে প্রবেশ করে এবং নেতিবাচক শক্তি ঘরের বাইরে থাকে।
আরও পড়ুন- সোমবার মহাদেবকে সন্তুষ্ট করুন, কাটিয়ে উঠুন জীবনের জটিলতর সমস্যা
৩) ঘরের মন্দিরে একটি নারকেল, রৌপ্য মুদ্রা রাখা খুব মঙ্গলজনক। মন্দিরে রৌপ্য প্রতিমা রেখে তাদের পুজো করা উচিত। পুজো সম্পর্কিত বিষয়গুলির জন্য রৌপ্যকে সেরা ধাতু হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
৪) বাড়ির প্রধাণ প্রবেশ দরজায় স্বস্তিকচিহ্ন আঁকা উচিত। এর ফলে নেতিবাচকতা ঘরে প্রবেশ করে না। প্রবেশ পথে মহালক্ষ্মীর পদক্ষেপ চিহ্ন তৈরি করা উচিত। এই শুভ চিহ্নগুলি বাড়ির সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করে বলেও বিশ্বাস করা হয়।
৫) ঘরে শ্রী কৃষ্ণের সুন্দর ছবি লাগালে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এমন একটি ছবি, যার মধ্যে গোমাতা, শ্রী কৃষ্ণ বাঁশি বাজছে, অবশ্যই ঘরে রাখা উচিত। এই চিত্রটি মনের প্রশান্তি দেয় এবং বাড়ির পরিবেশকে ইতিবাচক এবং খাঁটি করে তোলে।