বাস্তু মতে কখনই দক্ষিণ দিকে মুখ করে খেতে বসতে নেই। দক্ষিণ দিককে যমের অবস্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয় হিন্দু শাস্ত্রে। দক্ষিণ দিকে মুখ করে বসে পিণ্ডদান করা হয়। তাই কখনই দক্ষিণ দিকে মুখ করে বসে খেতে নেই।
আপনি যখন বাড়ি তৈরি করেন তখন নিশ্চয় বাস্তুশাস্ত্র মেনে চলেন। শোয়ার সময়ও অনেকে বাস্তুশাস্ত্র মানেন। যেমন ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী কখনই উত্তর দিকে মাথা দিয়ে শুতে তেমনই তেমনই খেতে বসারও বাস্ত নিয়ম রয়েছে। যেগুলি মেনে চললে আপনি সুস্থ থাকবেন একই সঙ্গে সুখ আর সমৃদ্ধি বজায় থাকবে আপনার জীবনে। তবে মনে রাখবেন নিয়মগুলি খুবই সহজ।
খেতে বসার নিয়ম-
বাস্তু মতে কখনই দক্ষিণ দিকে মুখ করে খেতে বসতে নেই। দক্ষিণ দিককে যমের অবস্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয় হিন্দু শাস্ত্রে। দক্ষিণ দিকে মুখ করে বসে পিণ্ডদান করা হয়। তাই কখনই দক্ষিণ দিকে মুখ করে বসে খেতে নেই।
জলের গ্লাস রাখার নিয়ম
বাস্তু মতে আপনি যদি উত্তর দিকে মুখ করে বসেন তাহলে অবশ্যই খাবার জলের গ্লাস বা জলের বোতটি রাখুন আপনার ডান হাতের দিকে। প্রয়োজনে বাম হাতে জল খেতে পারেন। কিন্তু গ্লাস রাখবেন ডান হাতের দিকে। চাইলে আপনি বাম হাতের দিকেও রাখতে পারেন। কিন্তু দক্ষিণ দিকে জলের গ্লাস রাখবেন না।
ভাত ও রুটি রাখার নিয়ম-
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী চাল বা ভাত পবিত্র। তাই আপনি অবশ্যই এগুলি ডানদিকে রাখবেন। আর বাম দিকে মাছ সবজি তরকারি রাখবেন। তাহলে খেতে সুবিধে হবে। যদি তা না করেন তাহলে অবশ্যই থালায় ভাতের ওপর তরকারি রাখুন। তাহলে সমস্যা অনেকটাই সমধান হয়ে যাবে।
খাবার খাওয়ার নিয়ম-
পিঁড়িতে বা আসনে বসে খাওয়ার নিয়ম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রথা হারিয়ে গেছে। তাই আপবি খাবার টেবিলে যে চেয়ার থাকে সেখানে একটি আসন পেতে রাখতেই পারেন। সেটা দেখতেও ভালো লাগবে। আর উপকারও পাবেন। খেতে বসেই জল খাবেন না। খাবার শেষ হওয়ার একঘণ্টা পরে অবশ্যই জল খান। রোজ পারে নুন আর লেবু রাখলে খাবার দিকে বা আপনার চেহারার জন্য কেউ নজর দিলেও তা লাগবে না। আবার নুন আর লেবু খাওয়াও উপকারী। অন্যদিকে খাবার পাতে রোজ একটি করে সবুজ সবজি রাখুন। তাতে শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকবে আর বাস্তু নিয়মও মানা হবে। শেষপাতে অবশ্যই একটি মিষ্টি বা টক জাতীয় খাবার রাখুন। তাহলে পজিটিভ এনার্জি অনেকটাই বেড়ে যাবে। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই কিছু খাবেন না। তাহলে অশুভ শক্তি ভর করতে পারে।