বাস্তু টিপস অনুযায়ী যদি বিয়ের প্রথম থেকেই আপনি ঘর সাজান তাহলে কিন্তু কিছুতেই আপনার দাম্পত্যের সম্পর্কে চিড় ধরবে না।
বাংলায় যথেষ্ট জনপ্রিয় প্রবাদ - সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। কিন্তু সুখী দাম্পত্যের (Couple) জন্য শুধু রমণীর গুণই যথেষ্ট নয়। বিয়ের প্রথম থেকেই বাস্তু মেনে (Vastu Tips) ঘরসজ্জা জরুরি। কারণ আপনি কোন ঘরে আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে বাস করেন তার ওপরেও নির্ভর করে আপনার সুখ - শান্তি। কারণ সন্দেহ, ঝগড়া, বোঝাপড়া - এই সবকটি দাম্পত্যে চিড় ধরাতে পারে।
তাই বাস্তু টিপস অনুযায়ী যদি বিয়ের প্রথম থেকেই আপনি ঘর সাজান তাহলে কিন্তু কিছুতেই আপনার দাম্পত্যের সম্পর্কে চিড় ধরবে না। বরং তা সুখের হয়ে দাঁড়াবে। এক নজরে দেখে নিনি কী করে আপনি আপনার শোয়ার ঘর সাজাবেন।
জানালা- শোয়ার ঘরে একটি জানালা থাকা খুবই প্রয়োজন। তবে তা যেন অবশ্যই বাইরের দিকে হয়। এই জানালাই চাপ কমিয়ে দিতে পারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। বাড়া পারস্পরিক ভালোবাসা আর বোঝাপড়া।
আয়না- শোয়ার ঘরে আয়না রাখা বাস্তু অনুযায়ী খুবই ভালো। তবে ভুলেই আয়না এমন জায়গায় রাখবেন যেখান থেকে খাট দেখা যায়। শোয়ার ঘরে আয়না রাখতে স্বামী স্ত্রীর বিবাদ কমে যায়।
লাভবার্ড-শোয়ার ঘরে অবশ্যই লাভবার্ডের ছবি রাখুন। এটি পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয়।
ইলেকট্রনিক পণ্যা রাখবেন না- শোয়ার ঘরে ভুলেও ইলেকট্রনিক গেজেট রাখবেন না। দম্পতির মূল্যবান সময় সেটি নষ্ট করে দেয়। বাস্তু অনুযায়ী এটি ঘরে নেজেটিভ শক্তি বাড়িয়ে দেয়।
ঘুমানোর সঠিক ভঙ্গি- স্ত্রীকে সময় স্বামীর বামদিকে ঘুমাতে হবে। এমনিতেও হিন্দু শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী স্ত্রী স্বামীর বামদিকেই থাকে। এতে পারস্পরিক টান বেড়ে যায়।
কাঁটাযুক্ত ফল না- শোয়ার ঘরে কখনই কাঁটাযুক্ত ফল রাখবেন না। তাতে স্বামী স্ত্রী উভয়ের মধ্যে মানসিক চাপ বাড়ে।
ঘরের রঙ- শোয়ার ঘরে হালকা রঙ ব্যবহার করুন। গোলাপি বা সজুব রঙ হলে খুবই ভালো হয়। কখনই শোয়ার ঘরে ডিপ রং ব্যবহার করবেন না।
দেবদেবীর ছবি রাখবেন না - শোয়ার ঘরে দেবদেবীর ছবি রাখবেন না। কোনও মৃত মানুষের ছবিও রাখবেন না। পায়ের দিকে জলের ছবি রাখলে ভালো ফল পাবেন।
মানিপ্ল্যান্ট- শোয়ার ঘরে মানিপ্ল্যান্ট গাছ রাখা শুভ বলে মনে করা হয়। এচে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর হয়। কারণ মানিপ্ল্যান্ট গাছ শুক্রের প্রতীক। ভালোবাসা বাড়ায় মানিপ্ল্যান্ট।