বাস্তু (Vastu) বলতে, সকলে বুঝি সঠিক দিশায় রান্নাঘর (Kitchen), বাথরুম (Bathroom) কিংবা শোওয়ার ঘরকে (Bedroom)। আবার অনেকের মতে, সঠিক দিশায় ঠাকুর ঘর। কিন্তু, বাস্তবটা একেবারেই তা নয়। একটা সূচ থেকে দেওয়ালচিত্র সবই পড়ে বাস্তুর (Vastu) মধ্যে। তাই নজর রাখতে হবে সব দিকে। এমনকী, আমাদের ছোট ছোট ভুলেও বাস্তুদোষ হতে পারে।
গৃহে সুখ-শান্তি বজায় রাখতে বাস্তুর (Vastu) ভূমিকা বিস্তর। বাস্তু শাস্ত্র (Vstu Shastra) অনুসারে, বাড়ির বাস্তু ঠিক থাকলে যেমন সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি হয়, তেমনই যদি বাস্তু দোষ থাকে, তাহলে পরিবারে বিভিন্ন সমস্যা (Problems) লেগেই থাকে। বাস্তু দোষ থাকলে রোগ (Health Issue), আর্থিক সংকট (Financial Problem), আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে নেগেটিভ এনার্জি (Negative Energy) বাড়িতে বাসা বাঁধে। তাই সব সময় বলা হয় বাস্তুদোষ থাকলে তা কাটিয়ে নিতে। তা না হলে, ঝগড়া-বিবাদ, রোগ, আর্থিক সমস্যা পিছু ছাড়বে না। তবে, বাস্তু (Vastu) বলতে, সকলে বুঝি সঠিক দিশায় রান্নাঘর (Kitchen), বাথরুম (Bathroom) কিংবা শোওয়ার ঘরকে (Bedroom)। আবার অনেকের মতে, সঠিক দিশায় ঠাকুর ঘর। কিন্তু, বাস্তবটা একেবারেই তা নয়। একটা সূচ থেকে দেওয়ালচিত্র সবই পড়ে বাস্তুর (Vastu) মধ্যে। তাই নজর রাখতে হবে সব দিকে। এমনকী, আমাদের ছোট ছোট ভুলেও বাস্তুদোষ হতে পারে।
সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দৌড়াতে হচ্ছে সকলকে। সময় (Time) মেনে ঘুম থেকে ওঠা, সময় মেপে কাজ (Work) করা, সময় মেনে খাওয়া আরও কত কী। সকলেই আমরা সময়ের ওপর নির্ভরশীল। এর কারণে, সারাক্ষণ সঙ্গে রাখতে হয় ঘড়ি (Watch)। বর্তমান সমাজে টাইম মেনে দৌড়াতে না পারলেই পিছিয়ে পড়তে হবে।
প্রয়োজনে হোক কিংবা স্টাইল (Style) করতে অনেকে সারাদিন ঘড়ি (Wristwatch) হাতছাড়া করে না। ঘুমানোর সময়ও বালিশের (Pillow) নীচে ঘড়ি রেখে ঘুমান। এই অভ্যেস আপনার থাকলে আজ থেকেই বদল করুন। এই কাজ আর ভুলেও করবেন না। বালিশের নীচে ঘড়ি নিয়ে ঘুমানোর অভ্যেস বাস্তু (Vastu) দোষ তৈরি করে। এতে উন্নতিতে যেমন বাধা আসে, তেমনই বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি (Negative Energy) কাজ করে। জেনে নিন বাস্তু মতে কেন বালিশের নীচে ঘড়ি রাখা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: Vastu Tips- ব্যবসায় নামলেই সাফল্য নয়, ক্ষতি রুখতে বাস্তু মেনেই হাত দিন শুভ কাজে
বাস্তু শাস্ত্রে বর্ণিত আছে যে, বালিশের নীচে ঘড়ি নিয়ে ঘুমানো একেবারেই অনুচিত। এতে আমাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। আর ঘড়ি থেকে নির্গত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ (electromagnetic waves) আমাদের মন (Mind) ও হৃদয়ে (Heart) খারাপ প্রভাব ফেলে। এই তরঙ্গগুলো থেকে নেতিবাচক এনার্জি (Negative Energy) তৈরি হয়। যা আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে ও শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটায়। এতে সংসারে শান্তিতে ব্যাঘাত ঘটে। ঘড়ি থেকে উৎপন্ন নেগেটিভ শক্তি সংসারে অমঙ্গল ডেকে আনে। তাই কখনোই বালিশের নীচে ঘড়ি রাখবেন না।