ভারতের মতোই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ৫০০ বেশি। গত ২৪ গণ্টায় বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণে ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৪১ জন। এই অবস্থায় দেশে লকডাউনের নিয়মে শিথিলতা আনতে চলেছে শেখ হাসিনা প্রশাসন। ৩১ মে থেকে দেশটিতে সীমিত আকারে গণপরিবহন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, বাংলাদেশে ছুটি না বাড়িয়ে সীমিত আকারে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত এবং শিল্প-কলকারখানা খুলে দিলেও গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। এখন সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত হলো, ৩১ মে থেকে সীমিত আকারে অল্পসংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও ট্রেনও চলবে দেশে।
মহামারীর চিকিৎসা করতে গিয়ে মিলছে না সময়, হাসপাতালেই বিয়ে সারলেন চিকিৎসক ও নার্স
বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৬ লক্ষ ছাড়াল, লকডাউন শিথিল করলেই আছড়াবে দ্বিতীয় ঝড়, সতর্ক করছে 'হু'
ঘরে বসেই পেয়ে যান বালাজি মন্দিরের প্রসাদ, অনলাইনে লাড্ডু বিক্রি শুরু করল তিরুপতি কর্তৃপক্ষ
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে সারাদেশে আগামী ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত গণপরিবহনগুলো চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশেই গণপরিবহন চলাচল করবে। কারণ, অনেক মানুষেরই ব্যক্তিগত গাড়ি নেই, তাদেরও যাতায়াত করার প্রয়োজন রয়েছে। সেজন্য ১৫ দিনের জন্য সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু করা হচ্ছে দেশে। তিনি আরও বলেন, ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত আমরা এসব নিয়মকানুন কতটুকু মানতে পারলাম সেটা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এরআগে বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, সরকারি ছুটি আর বাড়ান হবে না। সীমিত আকারে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত এবং শিল্প-কলকারখানা খুলে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি চলছে। ইতিমধ্যে সাত দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়। এবার বাংলাদেশে লকডাউনের মধ্যেই ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সর্বশেষ ঘোষিত সাধারণ ছুটিও বাংলাদেশে হচ্ছে আগামী শনিবার। এই অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে ছুটির বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত এল।
এদিকে দেশে বেড়ে চলা সংক্রনণের মধ্যেই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল বাংলাদেশে। রাজধানী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ৫ জনের। এই হাসপাতালটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা চলছিল। মৃতদের মধ্যে ৩ জন কোভিড ১৯ রোগী ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। মৃতেদর সকলেই লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে ছিলেন।
বুধবার রাতে হাসপাতালের প্রধান ভবনের বাইরে আইসোলেশন ইউনিটে আগুন লাগে। ওই সময় আবহাওয়া খারাপ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মৃত ওই পাঁচজনকে নিরাপদে বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। এসি থেকে শর্টসার্কিট হয়েই এই প্রাণঘাতী আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে দাবি করছে দমকল।