১৯৭১ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে যা ভারতীয়দের কাছে চিহ্নিত তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। জয়ের দিনটিকে ওই দেশের মানুষ বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন।
বাংলাদেশের বিজয় দিবসের ৫০তম বর্ষে (Bangladesh 50th Victory Day) উপলক্ষ্যে আড়াই দিনের ঢাকা সফরে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ(President Ram Nath Kovind)। সফরের প্রথম দিন অর্থাৎ বুধবারই তিনি দেখা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Bangladesh PM Sheikh Hasina) সঙ্গে। করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের। বাংলাদেশ সফরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তিনি ওই অনুষ্ঠানে সম্মানীয় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রামনাথ কোবিন্দ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। এদিনও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রোটোকল মেনে শুভেচ্ছা জানাবেন।
১৯৭১ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে যা ভারতীয়দের কাছে চিহ্নিত তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। জয়ের দিনটিকে ওই দেশের মানুষ বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন। চলতি বছর বিজয় দিবসের ৫০ তম বার্ষিকী হিসেবে একগুচ্ছ বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতে আবদানের জন্য এই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরও আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। দুই দেশই যৌথ কর্মসূচি নিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে বুধবার বিকেলে ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তিনি একমাত্র বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি যিনি এই বিশেষ সম্মান পাবেন। বাংলাদেশের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ১২২ সদস্যে একটি দলও অংশ নেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি ও দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বছরের পূর্তিতে এই অনুষ্ঠানটিকে দুটি দেশই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
সূত্রের খবর কোবিন্দ মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গেও কথা বলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা সাধারণ নাগরিক হয়েও দেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন। কোবিন্দ জাতীয় শহিদ স্মৃতি সৌধ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেবেন।
১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর প্রায় ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য ভারতীয় সেনা বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এই যুদ্ধ জয়ের কয়েক দিন পরে পূর্ববঙ্গ নাম বদল করে রাখা হয় বাংলাদেশ। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত (Indian-Bangladesh Border) সেনাদের মিত্রতা অটুট রাখতে ইন্দো-বাংলা চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে পালিত হল দুই দেশের যৌথ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসঅফ (BSF) এবং বিজিবির (BGB) যৌথ উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠান করা হয়।
দেশ ভাগের পর থেকেই দুই বাংলার সম্পর্ক বরাবরই মধুর। সে ভাষা হোক বা শিক্ষা, সংস্কৃতি, বা খাওয়া দাওয়া! সব দিক থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক খুবই ভালো। রাজনৈতিক, কুটনৈতিক দিকেও দুই দেশের সম্পর্ক ভালো। চলতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। সেই বর্ষপুর্তিকে সামনে রেখে ও ভারত-বাংলা দুই দেশের মৈত্রী অটুট রাখতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন ইন্দো-বাংলা ফুলবাড়ি সীমান্তের ওই জিরো পয়েন্টে বিএসঅফ এবং বিজিবির তরফে আধিকারিক পর্যায়ে মিষ্টি ও পুস্পস্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয়।