২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে বেধড়ক মারধঘর করা হয়। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের সমালোচনা করার অভিযোগ তুলে এক নেটিজেনকে হত্যা করার অপরাধে বুধবার বাংলাদেশের (Bangkadesh) একটি আদালত ২০ জন ছাত্রকে মৃত্যুদণ্ডের (sentences 20 students to death) নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের ইংঞ্জিয়ানিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বা বুয়েটের পড়ুয়া আবরার ফাহাদকে (Abrar Fahad) খুন করার অভিযোগে আগেই ২৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। দোষীদের মধ্যে ২০ জনেয মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে বাংলাদেশের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। বাকি পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে জলচুক্তি করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন আবরার ফাহাদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালিখি করেছিলেন। সেই ঘটনার সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদকে বেধড়ক মারধঘর করা হয়। প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা সকলেই ছিল বাংলাদেশে শাসক দল আওয়ামি লিগের সদস্যরা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আবরার। ছেলের মৃত্যুতে ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছরই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ২৫ জনকে গ্রেফতার করে। সেই সময় পুলিশ জানিয়েছেন আবরারকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে মারা হয়েছিল। আঘাত করা হয়েছিল একাধিক অস্ত্র দিয়ে।
এদিন রায় ঘোষণা হওয়ার পর ফাহাদের বাবা জানিয়েছেন তিনি এই রায়ে খুশি দোষীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ প্রশাসন সূত্রের খবর যে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা সকলেই ছাত্র ছিল। সাজাপ্রাপ্তদের গড় বয়স ২০-২২ বছরের মধ্যে। ফাহাদের সঙ্গে তারা একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা করত। তবে এই ঘটনায় এখনও তিন জন অভিযুক্ত পলাকত রয়েছে। অভিযুক্তদের আইনজীবী জানিয়েছেন এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
মৃত্যু কয়েক ঘণ্টা আগে ফাহাদ ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। যেখানে তিনি ভারতের সঙ্গে জলচুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। পাশাপাশি বাংলাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সেই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল সেই সময়। ফাহাদকে যে মারধর করা হয়েছিল সেই ঘটনাই ধরা পড়েছিল একটি সিসিটিভি ফুটেজে। সেই ভিডিও ফুটেজও ফাহাদের মৃত্যুর পরে ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি বিদেশেও তোলপাড় শুরু হয়। এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয় সুশীল সমাজও।
সম্প্রতী বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠছে। যার বিরুদ্ধে হত্যা, হিংসা ও তোলাবাজির মত ঘটনাও রয়েছে। এই ঘটনায় কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছে আওয়ামী লিগ।
Shocking Video, মহিলার খাবারে পুরুষ লিঙ্গ, আঁতকে উঠে সতর্ক করলেন নেটিজেনদের
Viral video Of Aladdin: দুবাইয়ের জলে ভাসে বেড়াচ্ছে আলাদিন, ভাইরাল ভিডিওতে মগ্ন নেটদুনিয়া