ভারতের প্রসংশা করেই বিপত্তি! গদি খোয়ানোর আশঙ্কায় বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী

বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে যখন একদিকে বিতর্ক তুঙ্গে ঠিক সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর থেকে আকস্মিকভাবে বাদ পড়লেন বিদেশমন্ত্রী মোমেন। এই ঘটনা কূটনৈতিক স্তরে যে জল্পনা আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এই ঘটনার পক্ষে কাদের যুক্তি দিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতা ও অন্যান্য নানা কারণেই এই সিদ্ধান্ত হতে পারে। 

Ishanee Dhar | Published : Sep 7, 2022 1:07 PM IST

ভারতের প্রশংসাই কাল হল। এমনকি মন্ত্রিত্বও খোয়াতে পারেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। যদিও এই প্রসঙ্গে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক তথা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন মোমেনের মন্ত্রিত্ব খোয়ানোর বিষয় মন্তব্য করার অধিকার একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর। 


বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে যখন একদিকে বিতর্ক তুঙ্গে ঠিক সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর থেকে আকস্মিকভাবে বাদ পড়লেন বিদেশমন্ত্রী মোমেন। এই ঘটনা কূটনৈতিক স্তরে যে জল্পনা আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও এই ঘটনার পক্ষে কাদের যুক্তি দিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতা ও অন্যান্য নানা কারণেই এই সিদ্ধান্ত হতে পারে। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সম্মেলনে এই বিষয় কাদের বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর সব সফরে যে বিদেশমন্ত্রীকে সঙ্গী হতেই হবে তার কোনও মানে নেই। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদী এসেছিলেন। তার সঙ্গে কি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এসেছিলেন?" তিনি আরও বলেন, "বিদেশ মন্ত্রীরাও মানুষ। তাঁদের শারীরিক সমস্যা হতেই পারে।"


এদিন মোমেনের মন্ত্রিত্ব খোয়ানোর জল্পনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে কাদের স্পষ্ট জানিয়েছে,"শুনেছি বর্তমানে ওঁ কিছুটা অসুস্থ। সম্ভবত এরজন্যই কিছুদিন আগে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একটু 'স্লিপ' হয়েছে। কিন্তু সেই কারণে তিনি মন্ত্রিত্ব খোয়াবেন কি না তা বলার অধিকার আমার নেই। এই সিদ্ধান্ত একমাত্র প্রধানমন্ত্রীই নিতে পারেন।  তিনি চাইলে বাদ দি‌তে পা‌রেন। এবিষয় অন্য কারোর কিছু বলার নেই।" 

আরও পড়ুনকথা রাখলেন হাসিনা, সীমান্ত পেরিয়ে ৪ টন ইলিশ এল রাজ্যে- পুজোর মুখে আরও ইলিশ আসবে 


উল্লেখ্য, অগাস্টে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেফাঁস কথা বলে ফেলেন বিদেশমন্ত্রী  ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি এদিন বলেন, “শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি। আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাঁকে টিকিয়ে রাখতে পারলে আমাদের দেশ উন্নয়নের দিকে যাবে এবং সত্যিকারের সাম্প্রদায়িকতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক একটা দেশ হবে।” তাঁর এই মন্তব্যের পর থেকেই বিতর্কের ঝড় ওঠে। 

আরও পড়ুন ভারতের সাহায্য তৈরি হবে বাংলাদেশের সবথেকে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মোদী-হাসিনা স্বাক্ষর করলেন ৭টি মউতে

Share this article
click me!