ভাইরাল ভিডিও-র খেল, ৪৮ বছর নিখোঁজ থাকার পর পরিবার ফিরে পেলেন অশক্ত বৃদ্ধ

  • ভাইরাল ভিডিওর মধ্য দিয়েই বদলে গেল ৭৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশীর জীবন।
  • ৪৮ বছর আগে হারিয়ে গিয়েছিলেন এই তিনি।
  • ভাইরাল ভিডিওয় তাঁকে খুঁজে বার করল আমেরিকায় থাকা বউমা।
  • ফের ঘটল পরিবারের দেখা হল তাঁর দিয়েছে।

 

amartya lahiri | Published : Jan 21, 2020 6:37 AM IST / Updated: Jan 21 2020, 12:11 PM IST

ভাইরাল ভিডিও সাধারণত লোকে হাসাহাসির জন্যই ব্যাপকভাবে শেয়ার করে থাকে। তবে অনেক সময়ই লক্ষ্য করা হয় না, এই ভিডিওগুলির মধ্য দিয়ে কিন্তু বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি এভাবেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও-ই পাল্টে দিল এক ৭৮ বছর বয়সী বাংলাদেশীর জীবন। জানা গিয়েছে, এক বিজনেস ট্রিপে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন এই তিনি। এই ভাইরাল ভিডিওটিই তাঁকে প্রায় ৪৮ বছর পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে ফের মিলিয়ে দিয়েছে।

নিখোঁজ হওয়ার সময় হাবিবুর রহমান-এর বয়স ছিল ৩০ বছর। তিনি সিলেটে রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন। ১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশের বন্দর শহর চিটাগাঙ-এ ব্যবসার কাজে গিয়েছিলেন। তারপর কীভাবে তিনি হারিয়ে গিয়েছিলেন কিছুই তাঁর মনে নেই। গত ২৫ বছর ধরে তিনি সিলেটের মৌলবীবাজার জেলায় রাজিয়া বেগম নামে এক মহিলার বাড়িতে থাকতেন। রাজিয়া বেগম জানিয়েছেন, তার পরিবার রহমানকে ১৯৯৫ সালে হজরত শাহাবউদ্দিনের মাজারে পেয়েছিল। কিন্তু রহমান তাঁর পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুউ জানাতে পারেননি।

দিন কয়েক আগে বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে রহমানের ডানহাত ভেঙে যায়। ভাঙা হাতটিতে ইনফেকশন হয়ে যাওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। বেগমের তাঁকে সেখানে রেকে চিকিৎসা করানোর সামর্থ ছিল না। তাদের দুর্দশা দেখে হাসপাতালের এক রোগী ভিডিওটি তৈরি করে সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করেন এবং জনসাধারণের কাছে তাঁদের সহায়তার জন্য আবেদন করেন। ভিডিওটি আপলোড করার পরই সেটি দ্রুত ভাইরাল হয়েছিল।

রহমানের বড় ছেলে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। ভিডিওটি চোখে পড়ে তাঁর স্ত্রীর। যে রোগীর জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়ে ওই ভিডিওটি তৈরি করা তাঁর সঙ্গে তিনি তাঁর স্বামীর অদ্ভুত সাদৃশ্য খুঁজে পান। ভিডিওটি তক্ষণি তিনি তাঁর স্বামীকে শেয়ার করেন। তাঁর ভাইরা সিলেটে থাকেন। তিনি ভাইদের ভিডিওতে উল্লেখ করা ওই রোগীর খোঁজ নিতে বলেন। পরদিনই ওই হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা দেখেন ওই রোগী আর কেউ নন, তাঁদের নিখোঁজ বাবা। দুর্ভাগ্যক্রমে, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আর দেখা হওয়ার উপায় নেই। ২০০০ সালেই তাঁর প্রয়াণ ঘটেছে।

 

Share this article
click me!