আবারও নোংরা বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন বাংলাদেশের রকস্টার মইনুল আহসান নোবেল। সম্প্রতি এক বান্ধবীর সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে গিয়ে মাদকদ্রব্য সেবন থেকে পর্যটকদের মারধর, অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছে নোবেলের বিরুদ্ধে। এমনকী পরকীয়ার অভিযোগেও বিদ্ধ নোবেল।
নোবেল মানেই বিতর্ক। এই চর্চিত বিতর্কের শেষটা যে কোথায় তা হয়তো কারোরই জানা নেই। কন্ট্রোভার্সি শব্দটা যেন তার নামের সঙ্গেই জুড়ে গিয়েছে। আবারও নোংরা বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন বাংলাদেশের রকস্টার মইনুল আহসান নোবেল। সম্প্রতি এক বান্ধবীর সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে গিয়ে মাদকদ্রব্য সেবন থেকে পর্যটকদের মারধর, অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছে নোবেলের বিরুদ্ধে। এমনকী পরকীয়ার অভিযোগেও বিদ্ধ নোবেল।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক একটি ছবি পোস্ট করেন সারেগামাপা-খ্যাত নোবেল। ছবিটিতে দেখা যায়, জঙ্গুলে নদীর উপর একটি পাথরের উপর বসে রয়েছেন নোবেল ও তার সঙ্গিনী। নোবেলের হাতে গাঁজার কলকে। ক্যাপশননে লেখা, 'গাঁজার নৌকৌ পাহাড়তলি যায়, ও মিরাবাই'। জানা যায়, বান্দরবানে যাওয়ার সময়েই রুমা বাসস্ট্যান্ডে অভব্য আচরণ করা শুরু করেন নোবেল, এবং তার কীর্তি দেখেই বাস কর্তৃপক্ষ তাকে পাহাড়ি রাস্তায় নিয়ে যেতে অসম্মতি জানায়। এবং তাকে না নিয়ে বাসটি ছেড়ে চলে যায়, এবং তখন থেকেই বেসামাল ছিলেন নোবেল।
বান্দরবনে পৌঁছানোর পর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে গার্ডেন সিটি নামে একটি হোটেলে ওঠেন তারা। এবং কাপল পরিচয় দিয়ে ওই বান্ধবীকে নিয়ে ২ দিন একসঙ্গে কাটান নোবেল। তারপর বান্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে বেরিয়ে এলাকাবাসীপ সঙ্গে অভদ্র আচরণ করে। তার ব্যবহারে তিতিবিরক্ত হন এলাকাবাসী। সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় হোটেলে এসে প্রচুর মদ্যপান করেন। রাতা সাড়ে ১১ টার সময় মত্ত অবস্থায় চিৎকার শুরু করেন পাশাপাশি হোটেলের আবাসিকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। নোবেলের এই বাড়াবাড়ি দেখেই হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। রাত প্রায় ৩ টে, ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পরের দিন বিকেল ৪ টে নাগাদ সেই হোটেল ছেড় দেন নোবেল ও সঙ্গিনী। নিজেদের দম্পতি বলে পরিচয় দিয়েই সেখানে রাত কাটিয়েছিলেন নোবেল।
২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর বিয়ে করেন নোবেল। নোবেলের স্ত্রী মেহরুনা সালসাবিল মাহমুদ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, নোবেল যে মহিলার সঙ্গে বান্দরবনে গিয়েছিলেন তিনি একজন বিমান সেবিকা, এবং তিনিই নাকি নোবেলকে মাদক সরবরাহ করে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার পর নোবেলের পোস্ট করা ছবি শেয়ার করে প্রশাসনকে নোবেলের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাও নিতে বলেছেন নোবেলের স্ত্রী মেহরুনা সালসাবিল মাহমুদ ।