নিজেরই সার্ভিস পিস্তলের গুলির শব্দে অজ্ঞান হয়ে গেলেন পুলিশ কর্তা। অদ্ভূত এক ঘটনা ঘটল বাংলাদেশের বরিশাল (Barishal) জেলায়।
নিজেরই সার্ভিস পিস্তলের গুলির শব্দে অজ্ঞান হয়ে গেলেন পুলিশ কর্তা! অদ্ভূত এক ঘটনা ঘটল বাংলাদেশের বরিশাল (Barishal) জেলায়। জানা গিয়েছে, শনিবার, স্থানীয় সময় রাত ৯টা বেজে ১০ মিনিট নাগাদ বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় (Barishal Kotwali Model Police Station) এই ঘটনা ঘটে। নিজের পিস্তলের গুলির শব্দেই নাকি অচেতন হয়ে পড়েন ওই থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Sher-e-Bangla Medical College Hospital, Barishal) ভর্তি করা হয়েছে।
বরিশালের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শারমিন সুলতানা রাখি (Sharmin Sultana Rakhi ) জানিয়েছেন, ওই এএসআই-এর নাম সেলিম রেজা। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। তারপরও, নিজের অসুস্থতার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন রেখে তিনি নিজের কর্তব্য পালন করে যাচ্ছিলেন। শনিবার রাতে ডিউটি শেষ করে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় করছিলেন তিনি। থানার দোতলার সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় আচমকা তাঁর অসুস্থতা বেড়ে যায়। তিনি মাটিতে পড়ে যান। পড়ে যাওয়ার সময়ই, কোনওভাবে তাঁর কোমরে রাখা লোড করা পিস্তল থেকে এক রাউন্ড গুলি ছুটে যায়। আর সেই প্রচন্ড শব্দ শুনে সেলিম অজ্ঞান হয়ে যান।
থানার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে থানার দোতলা থেকে আচমকা গুলির শব্দ এসেছিল। শুনে, প্রথমে ঘাবড়েই গিয়েছিলেন সকলে। থানায় উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ছুটে গিয়েছিলেন ঘটনাস্থলে। সেখানে তাঁরা সেলিমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। এরপর সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে শের ই বাংলা হাসপাতালে নিয়ে যান।
জানা গিয়েছে, ওই এএসআই ডায়াবেটিসের রোগী। ঘটনার সময় তাঁর শরীরে শর্করার মাত্রা প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছিল। তাতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে পিস্তলটি তাঁর কোমরের খাপ থেকে খুলে মাটিতে পড়ে গিয়েই ওই 'মিসফায়ার' হয়েছে। তবে সৌভাগ্যবশত, গুলিটি কারোর শরীরে লাগেনি।
এএসআই সেলিম রেজা বর্তমানে শের-ই-বাংলা হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। মেডিসিন ইউনিটের (পুরুষ) রেজিস্ট্রার নাজমুল আহসান জানিয়েছেন, তাঁদের অনুমান উচ্চ রক্তচাপের কারণেই সেলিম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবে, চিকিৎসা সহায়তা পেয়ে তাঁর জ্ঞান ফিরে এসেছে। তাঁকে আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্যাথলজি রিপোর্ট হাতে পেলে তাঁর অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে। এদিকে, ওপাড় বাংলায় এই অদ্ভূত খবরটি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে।