গ্রেনেড হামলায় হাসিনা-কে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন খালেদা জিয়া, গুরুতর অভিযোগে উঠল শোরগোল

বাংলাদেশের বিরোধী দলের প্রধান নেত্রীর বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ

খালেদা জিয়া তাঁকে প্রাণে মারতে চেয়েছিলেন

দাবি করলেন বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অভিযোগ রয়েছে খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান-এর বিরুদ্ধেও

 

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেত্রী বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট দল বা বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান-এর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ করলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দাবি করেছেন ২০০৪ সালে ঢাকায় এক গ্রেনেড হামলায় কালেদা জিয়া ও তারেক রহমান তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন।

২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ-এ আওয়ামি লিগ একটি সন্ত্রাসবিরোধী মিছিলের আয়োজন করেছিল। তার আগেই সিলেটে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার-এর উপর বোমা হামলা হয়েছিল। তারই প্রতিবাদে ঢাকা-সহ দেশের ৫০০-রও বেশি জায়গায় প্রতিবাদে মিছিল-সমাবেশ করা হয়েছিল। ঢাকায় সেই মিছিলের উপরই হয়েছিল সন্ত্রাসবাদী হামলা।

Latest Videos

মহিলা আওয়ামি লিগের তৎকালীন সভানেত্রী তথা পরবর্তীকালের বাংলাদেশী প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী সহ চব্বিশ জন সেই ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল। আরও অন্তত ৫০০ মানুষ গুরুতরভাবে জখম হয়েছিলেন। সেইসময় বিরোধী দলীয় নেত্রীর আসনে থাকা হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেও দীর্ঘদিন তাঁর শ্রবণে সমস্যা ছিল। সেই ঘটনারই ১৬তম বর্ষে প্রতিপক্ষ নেত্রীর বিরুদ্ধে এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ এনেছেন বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রী।

তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছেন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ওই গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলেন খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান। আর তাদের 'প্রধান টার্গেট' ছিলেন তিনিই বলে দাবি করেছেন হাসিনা। যুক্তি দিয়েছেন, ওই বোমা হামলার ঠিক আগেই খালেদা জিয়া বলেছিলেন, 'আওয়ামি লিগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না'। আর হত্যাকাণ্ড চালানো টা খালেদার দলের অভ্যাস। কারণ তারা দেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়। 'দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থোপার্জন'এর জন্যই তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়, এমন অভিযোগও করেছেন হাসিনা।

বিএনপি-জামাত সরকার আসলে সন্ত্রাসবাদী ও জঙ্গিদের দিয়েই ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল বলে দাবি করছেন আওয়ামমি লিগ প্রধান। আহতদের উদ্ধারের পরিবর্তে সেইসময় বাংলাদেশ পুলিশ তাদের উপর টিয়ারগাস-গুলি চালিয়েছিল। এমনকী বিএনপি ও জামাত সমর্থক চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসাাও করেননি, আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ করে রেখে কোনও আহতকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি  বলে অভিযোগ করেছেন শেখ হাসিনা।  

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'এটা কোন মুখ্যমন্ত্রী? হিন্দুদের দায়িত্ব মুসলিমরা নেবে, বাংলাদেশ হয়ে যাবে তো' | Suvendu Adhikari
রাগের মাথায় এ কী করে বসলো স্বামী! দেখলে আঁতকে উঠবেন, চাঞ্চল্য Nadia-এ | North 4 Parganas News Today
সুকান্ত মজুমদারকে বিজেপির নবজাতক আখ্যা কুণালের, পাল্টা দিয়ে যা বললেন সুকান্ত : Sukanta on Kunal
নেতাজির 'মৃত্যুদিন' ঘোষণা রাহুলের, ক্ষোভ উগরে একহাত নিলেন সুকান্ত মজুমদার | Sukanta on Rahul
‘Mamata Banerjee আর Modi দুজনেই ‘বিভাজনের রাজনীতি করছেন’ বিস্ফোরক মন্তব্য Adhir Ranjan Chowdhury