৫০০ নিখোঁজ ১০০ ধুঁকছে, বেহাল অ্যাপগুলি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে প্রশাসনও

  • সরকারের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল ৬০০ অ্যাপ
  • তার অধিকাংশই হারিয়ে গেছে কালের গর্ভে
  • ১০০ অ্যাপ এখনও টিকে আছে খুব কষ্ট করে 
  • পুরনো অ্যাপগুলির দিকে নজর নেই প্রশাসনের 
     

বাংলাদেশের তৈরি মোবাইল ফোন অ্যাপলিকেশনের করুণ দশা সামনে এল। বাংলাদেশের প্রথম সারির দৈনিক প্রথম আলো সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে জনগণের করের টাকায় তৈরি ৫০০ অ্যাপ নেই গুগুল প্লে স্টোরে। আর সেগুলি যে ওয়েবসাইটে রয়েছে সেখানে ঢুকতে হেলেই নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে বলে একটি সংকেত আসে। আর সেই কারণেই নেটিজেনটা সাহত করে আর সেই মোবাইল অ্যাপগুলি ব্যবহার করেন না। তবে এখনও পর্যন্ত ১০০টি অ্যাপ গুগুল প্লে স্টোরে আছে। তবে তার ব্যবহার খুবই সামান্য বলেও দাবি করা হয়েছে দৈনিকের প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে ১০০টির মধ্যে মাত্র ১৮টি অ্যাপ ডাউনলোড করা হয়েছে মাত্র ১০০ বারের মত। বাকিগুলির ডাউনলোডের সংখ্যা নগন্য। তবে ৮২টি অ্যাপ ২০১৬ সালের পর থেকে আর ব্যবহার করা হয়নি। 

২০১৩ -১ৃ২০৫১ সসালে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্ত বিভাগ (আইটিসি) ১৮ কোটি টাকা ব্যায় করে তৈরি করেছিল নিজস্ব অ্যাপ। ৫ কোটিরও বেশি টাকা খারচ করা হয়েছিল অ্যাপ  তৈরিতে। আর বাকি টাকা খরচ করা হয়েছে প্রশিক্ষণ আর কর্মশালায়। দেশে অ্যাপের নিজস্ব বাজার তৈরির উদ্দেশ্যেই এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই অ্যাপ তৈরির কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল বলে দায় সেরেছেন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। তবে তিনি জানিয়েছেন অ্যাপগুলির মান খুব একটা উন্নত ছিল না। তবে ২০১৫ সালের পর অ্যাপগুলির জন্য আর কোনও অর্থ ব্যয় করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। সরকারও এই অ্যাপগুলির জন্য আর কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। মাইগভ নামে একটি অ্যাপ তৈরির কাজ চলছে। সেখানে একই ছাতার তলায় সরকারি সমস্ত পরিষেবা যাতে একসঙ্গে পাওয়া যায় সেদিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে। 

Latest Videos

৬০০টির মধ্যে ৫০০টি অ্যাপ তৈরি হয়েছিল মোবাইল অ্যাপস প্রশিক্ষক ও সৃজনষীস অ্যাপস উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে। কর্মসূচির মোট বাজেট ছিস ৯ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা। আর অ্যাপ বানাতেই খরচ হয়েছিল ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।২০১৫ সালে এই অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়েছিল। তখন জানান হয়েছিল ৩০০টি অ্যাপের মাধ্যমে সরকারি নানা তথ্য পাওয়া যাবে। বাকি ২০০টি অন্যান্য বিষয়ের অ্যাপ। তবে সেগুলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকও যথেষ্ট উদাসীন। বাকি যে ৩০০টি অ্যাপের ব্যবহার রয়েছে সেগুলির অবস্থাও তথৈবচ। অধিকাংশ অ্যাপের ব্যবহারই কম বলে দাবি করা হয়েছে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে। অ্যাপ উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠা এমসিসির প্রধান জানিয়েছেন ২০১৫ সালে কর্মসূচি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে প্রায় ২ বছর তাঁরা সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন নিজেদের দায়িত্ব। পরে সেগুলি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে অ্যাপের সক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও চুক্তি হয়নি। গুগুল প্লস্টোরে রাখার জন্য এখনও পর্যন্ত তারা খরচ যুগিয়ে চলেছেন বলেও জানিয়েছেন। বেশ কয়েকটি অ্যাপ ২০২০ সাল পর্যন্ত আপডেট করা হয়েছে বলেও জানান হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকের কথায় প্রয়োজনিয়তা না দেশেই অ্যাপ তৈরির মাশুল গুণতে হচ্ছে। 

 

Share this article
click me!

Latest Videos

Guyana-র সরস্বতী বিদ্যা নিকেতন স্কুলে Narendra Modi, কথা বললেন পড়ুয়াদের সঙ্গে
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
উপনির্বাচনে (By Election) কেমন ফল করবে বিজেপি? দেখুন কী বললেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
Live: মথুরাপুরে সদস্যতা অভিযান অগ্নিমিত্রা পালের, দেখুন সরাসরি
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News