একের পর এক মৃতদেহ ধর্ষণ, বাংলাদেশে সিরিয়াল কিলার ধরতে গিয়ে সামনে এল বিকৃত অপরাধ

১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী পাঁচ তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

যৌনাঙ্গ থেকে মিলেছিল একই ব্যক্তির শুক্রাণু

তারপর থেকেই খোঁজা হচ্ছিল এক ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলারকে

কিন্তু সামনে এল এক বিকৃত যৌন অপরাধ

Asianet News Bangla | Published : Nov 24, 2020 12:25 PM IST / Updated: Nov 26 2020, 12:16 PM IST

খোঁজা হচ্ছিল এক সিরিয়াল কিলারকে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে একের পর এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে হত্যা করে সে। এতি সূক্ষ্ম কাজ তার, যে হত্যা বলে সন্দেহই করেনি কেউ। এরকমই এক ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার খুঁজতে গিয়ে উদঘাটন হল এক জঘন্য অপরাধ। দিনের পর দিন কিশোরি মেয়েদের মৃতদেহ ধর্ষণ করার অপরাধে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয় ২০ বছরের যুবক মুন্না ভক্ত-কে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ডোম-এর কাজ করত সে।

তার অপরাধের মতো, তার ধরা পড়ার ঘটনাটিও দারুণ চমকপ্রদ। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোনও মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেই, তাদের যৌনাঙ্গ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করে দেখতে হয় যে, মৃত্যুর আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা। ২০১৫ সালে এই আইন কার্যকর করা হয়েছিল। সম্প্রতি, মহম্মদপুর ও কাফরুল থানা এলাকায় অস্বাভাবিক কারণে মৃত, ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী পাঁচ তরুণীর যৌনাঙ্গ থেকে শুক্রাণু পাওয়া গিয়েছিল। ডিএনএ বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাঁচটি নমুনার শুক্রাণুই একই ব্যক্তির।

আরও পড়ুন - নগ্নপ্রায় ব্রাজিলিয় সুন্দরীর ছবিতে 'লাইক' দিলেন পোপ, তদন্তে নামল ভ্যাটিকান

আরও পড়ুন - ১২ কোটি টাকার বিনিময়ে রাজ-প্রাসাদে উদ্দাম পরকিয়া, ফাঁস দুবাইয়ের বাদশার স্ত্রীর কেচ্ছা

আরও পড়ুন - অর্থনীতি নিয়ে ভারতকে খোঁটা দিল বাংলাদেশ, '৭১-এর পর নাকি 'অনুপ্রবেশ ঘটেইনি'

এই, ফলাফল ওই এলাকার পুলিশ বাহিনীকে বলা যেতে পারে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই তারা মনে করেছিল, ওই এলাকায় কোনও এক ভয়ঙ্কর এক সিরিয়াল কিলারের উদ্ভব হয়েছে। একের পর এক কিশোরিকে ধর্ষণ করে হত্যা করছে সে। কিন্তু অনেক তদন্ত করেও ওই তরুণীদের মৃত্যুর ঘটনার কোনও সাধারণ যোগসূত্র খুঁজে বার করতে পারেনি পুলিশ, যা দিয়ে ওই খুনির পরিচয় সম্পর্কে আন্দাজ করা যায়। একটাই যোগ ছিল, প্রতিটি মৃতদেহই ব্যবচ্ছেদ করা হয়েছিল শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

জঘন্য অপরাধের অভিযোগে ধৃত মূুন্না ভক্ত

আর তাতেই, মর্গের কর্মীদের উপর সন্দেহ গিয়ে পড়েছিল পুলিশের। কর্মীদের ডিএনএ-র সঙ্গে মেলাতেই ধরা পড়ে যায় মুন্না ভক্ত। তার বাড়ি ঢাকার রাজবাড়ি এলাকার গোয়ালন্দে। সে কিন্তু ওই হাসপাতালের কর্মচারীও নয়। হাসপাতালের ডোম যতনকুমার সম্পর্কে তার মামা। তার সহকারি হিসেবে সে কাজ করত। বাংলাদেশের পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মৃতদেহ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে মুন্না। বিভিন্ন স্থান ওই মর্গে যেসব মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হতো তার মধ্য থেকে সুন্দরী মহিলাদের অবিকৃত মৃতদেহ বেছে নিত সে। বিশেষ করে কিশোরীদের মৃতদেহের প্রতি তার ঝোঁক বেশি ছিল। এমনকী, কাটা-ছেঁড়া দেহের সঙ্গে সেলফিও, তুলত সে, এমনটাও জানা গিয়েছে।

 

Share this article
click me!