এখন কেমন আছেন বড় পর্দার ‘ব্যোমকেশ’? দেবায়ুধের কাছে প্রশ্ন ছিল। আপ্তসহায়কের দাবি, জ্বর আসছে যাচ্ছে। ডেঙ্গিতে যেমন হয়।
করোনার পরে কলকাতায় ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গি-আক্রান্তের সংখ্যা। সাধারণের পাশাপাশি তারকারাও আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে। ভাইফোঁটার সকালের খবর, এই তালিকায় নতুন সংযোজন আবীর চট্টোপাধ্যায়। সবিস্তার জানতে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা যোগাযোগ করেছিল ‘সোনাদা’র আপ্তসহায়ক দেবায়ুধের সঙ্গে। তিনি খবরের সত্যতায় সিলমোহর দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘দিন কয়েক আগে কলকাতার বাইরে গিয়েছিলেন আবীর। ফেরার পরে জ্বর আসে তাঁর। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এর পরেই রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তখনই ধরা পড়ে তাঁর ডেঙ্গি হয়েছে।’’
আবীর মানেই যেন রহস্যের গন্ধ। পর্দাজুড়ে হয় ‘ব্যোমকেশ’ নয় ‘সোনাদা’র দাপট। প্রিয় অভিনেতার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাই মনখারাপ অনুরাগীদের। এখন কেমন আছেন বড় পর্দার ‘ব্যোমকেশ’? দেবায়ুধের কাছে প্রশ্ন ছিল। আপ্তসহায়কের দাবি, জ্বর আসছে যাচ্ছে। ডেঙ্গিতে যেমন হয়। শরীরটাও সামান্য দুর্বল। অভিনেতা তাই পূর্ণ বিশ্রামে। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, জলীয় পথ্যের উপরেই রয়েছেন। তবে এর চেয়ে বেশি কোনও সমস্যা বা উপসর্গ নেই তাঁর। চিকিৎসকের মতে, সঠিক বিশ্রাম এবং পথ্যে নিলেই দিন সাতেকের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাবেন তিনি। পরিবারের বাকি সদস্যরা সবাই সুস্থ।
কবে থেকে আবার কাজে ফিরতে পারবেন, এখনও কিছু ঠিক হয়নি। দেবায়ুধের কথায়, নির্দিষ্ট দিনে আবারও ডেঙ্গির পরীক্ষা হবে। পাশাপাশি, আবীর দুর্বলও যথেষ্ট। তাই আপাতত কাজ নিয়ে ভাবছেন না তিনি। ডেঙ্গির রিপোর্ট নেগেটিভ এলে এবং শরীরে আগের মতো তরতাজা ভাব ফিরলে তবেই শ্যুটে যোগ দেবেন অভিনেতা। এ বারের পুজোয় বক্সঅফিস ছিল আবীরের দখলে। তাঁর অভিনীত ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’ অল্প দিনের মধ্যেই কোটের ক্লাবে পা রেখেছে। ছবিটি পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোনাদা ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় ছবি। ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’-এর আগে মুক্তি পেয়েছিল অরিন্দম শীলের ‘ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ’। চার বছর পরে এই ছবি দিয়েই আবীর আরও এক বার বড় পর্দার ব্যোমকেশ। আট থেকে আশি পরপর দুই গোয়েন্দা অবতারে অভিনেতাকে দেখে যথারীতি মুগ্ধ। পর্দায় ‘সোনা’র সঙ্গে এ বারের অভিযানেও ছিলেন ‘আবীর’ অর্জুন চক্রবর্তী এবং ‘ঝিনুক’ ইশা সাহা। ‘ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ’ ছবিতে ‘ব্যোমকেশ’-এর সঙ্গে দেখা গিয়েছে ‘সত্যবতী’ সোহিনী সরকারকেও। এই প্রথম ‘ব্যোমকেশ’ ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যুক্ত হন পাওলি দাম। তবে এ বার বদলে গিয়েছেন গোয়েন্দার সহকারী। ঋত্বিক চক্রবর্তীর জায়গায় ‘অজিত’ সুহোত্র মুখোপাধ্যায়। ছিলেন, অর্ণ মুখোপাধ্যায়, কিঞ্জল নন্দা, অনুষা বিশ্বনাথন।