আর মাত্র চারদিন, তারপরই শুরু হয়ে যাচ্ছে নুসরত জাহা ও নিখিল জৈনের বহু চর্চিত সেলিব্রিটি বিয়ে। শনিবারই শহর ছেড়ে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর পথে পা বাড়াবেন নুসরত। টলিউডের এই হাইপ্রোফাইল বিয়ে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ১৫-ই জুন নুসরত জাহান মা-বাবার সঙ্গেই পাড়ি দেবেন তুরষ্কে। সেখানেই পরিকল্পনা অনুসারে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বিবাহ আসর।
বিয়ের আগে সঙ্গীত। ১৭ তারিখ রাখা হয়েছে এই অনুষ্ঠান। সঙ্গীত অনুষ্ঠানে কী কী গান থাকবে, সে তালিকাও নিজেই তৈরি করেছেন নুসরত। তাঁর পছন্দের তালিকায় রয়েছে 'জালিয়ে পুরিয়ে', 'গভীর জলের মাছ', 'আলাদিন', 'পাগল আমি অলরেডি' গানগুলি। বিয়ে উপলক্ষ্যে নিমন্ত্রণপত্র ইতিমধ্যেই পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবের কাছে পৌঁছতে শুরু করেছে। সঙ্গীতের পর ১৯শে জুন তিনি শিল্পপতি নিখিল জৈন-এর সঙ্গে চারহাত করবেন।
বিয়ে উপলক্ষ্যে বুক করা হয়েছে বিমান টিকিটও। মোট ৭০ জন অতিথীদের কাছে পৌঁছেছে টিকিট। গন্তব্য তুরষ্কের বোদরুম শহর। বিয়ের অনুষ্ঠানে সবার আগে যোগ দেবেন নুসরতের প্রিয় বুনুয়া, মানে সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। তিনি তুরস্কের উদ্দেশে বেড়িয়ে পড়বেন ১৬ তারিখেই।
বিয়ের মরশুমে নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট-এর দায়িত্ব সায়ন্তের হাতে দিয়েছেন নুসরত। সায়ন্তকে সহযোগিতা করতে থাকবেন হেয়ারড্রেসার শর্মিষ্ঠা ও কস্টিউম স্টাইলিস্ট স্যান্ডি। এখানেই শেষ নয়, বিয়ের মেনুও নাকি নিজেই তাদরকি করে ঠিক করে ফেলেছেন নুসরত। বিয়ের দিনের কোন পোশাকে কনে হিসাবে নিজেক সাজাবেন তা নিয়ে এখনও অবশ্য দ্বন্দ্বে রয়েছেন তিনি। কারণ, কনের সাজ হিসাবে কোনও পোশাকই চূড়ান্ত করতে পারেননি নুসরত। তাঁর ওয়ার্ডড্রবে বিয়ের কনের একাধিক পোশাক হাজির। কোনটা ছেড়ে কোনটা নেই-এর মতো অবস্থা তাঁর।
বিয়ের কার্ডে মিলছে থিমের ছাপ। মুম্বইয়ের ডিজাইনার তৈরি করেছেন এই কার্ড। সেখানে সেলাই মেশিনের ছবি রাখা হয়েছে। যেহেতু নিখিল এই শিল্পের সঙ্গেই যুক্ত। তাই তার ছোঁয়া রাখা হয়েছে কার্ডে।