ফের দুঃসংবাদ। প্রয়াত হলেন ফ্যাশন জগতের উজ্জ্বল বিখ্যাত নক্ষত্র শর্বরী দত্ত। গতকাল গভীর রাতেই শৌচাগার থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। তার এই অস্বাভাবিক মৃত্য নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য এনআরএস হাসপাতালে রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে খবর পেয়ে কড়েয়া থানাক পুলিশ পৌঁছায় ডিজাইনারের বাড়িতে। সেখানেই তাদের পারিবারিক বন্ধু তথা অর্থপেডিক সার্জেন অমল ভট্টাচার্য যান।
সূত্র থেকে জানা যায়, পুলিশের অনুমতি নিয়েই দেহ ঘরে আনা হয়েছে। শর্বরী দত্তের ছেলে জানিয়েছেন, গতকাল সারাদিন মায়ের সঙ্গে কোনও দেখা হয়নি। এবং ১৬ তারিখও তিনি বাড়ির বাইরেই ছিলেন। ১৬ তারিখ লাস্ট ডিনারে মায়ের সঙ্গে দেখা। তারপরেই এই ঘটনা। ১৭ তারিখ বাথরুমে নিথর দেহ দেখতে পেয়েই পারিবারিক বন্ধু তথা অর্থপেডিক সার্জেন অমল ভট্টাচার্যকে খবর দেন তারা। মৃত্যুকালে শর্বরী দত্তের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
দীর্ঘদিন ধরেই অনেক রকমের ওষুধ খেতেন শর্বরী দত্ত। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন,বাথরুমে তার দেহের পাশে রক্ত পড়ে ছিল। তবে দেহ কতক্ষণ সেখানে পড়ে ছিল তা জানা যায়নি। এবং সেই দেহও তিনি ছুঁয়ে দেখেননি। শুধু তাই নয়, কানের পাশেও একটি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে বলেও জানিয়েছন চিকিৎসক। তবে ডাক্তারের মন্তব্যে শর্বরীর পূত্রবধুর দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে হরমোনের ওষুধ খাচ্ছিলেন, যার জন্য পিরিয়ড-এর মতো তার রক্ত বেরোত। বাথরুমে পড়ে থাকার রক্ত সেটাই বলে দাবি পূত্রবধুর। ইতিমধ্যেই তার মৃত্যু জটিল রহস্য খতিয়ে দেখছে হোমিসাইড শাখা। তার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে।