পর্দায় চরিত্রদের যখন সায়নী তুলে ধরেন, তখনও যেন কোথাও না কোথাও লুকিয়ে থাকে প্রতিবাদের ভাষা, কখনও সমাজের বিরুদ্ধে লড়াই, কখনও আবার নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই, ওয়েব সিরিজ হোক বা ছবি, সায়নী বরাবরই এক ভিন্ন বার্তা দিতেই পছন্দ করেন, যেখানে নেই পিছিয়ে পড়ার বিষাদ, নেই ভাঙে পড়ার অবকাশ। আর এইখানেই সায়নিকে আলাদা করে রেখেছে টলিউড। কখনও সিঙ্গল মাদার, কখনও আবার দিনে দুপুরে সপাট ডাকাতি। সায়নীকে কি তবে দর্শকমহল সেই কারণেই আজ গণ্য।
আরও পড়ুন- শিবের মাথায় কন্ডোমের ছবি থেকে 'যৌনকর্মী'র তকমা, গত এক বছরে বিতর্কের শিরোনামে সায়নী
নিজের জায়গা পাকা করা থেকে শুরু করে পায়ের তলার মাটি শক্ত করা, যাই বলা যাক না কেন, সেক্ষেত্রে কি কোথাও গিয়ে সায়নির এই উন্মুক্ত চিন্তা-ধ্যান ধারণাই অস্ত্র হয়ে উঠছে! বিতর্কে জড়িয়ে একাধিকবার তাঁর নাম। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই সায়নি নিজের দাপটে নিজের জায়গা ধরে রেখেছে। যুব সমাজের কাছে সেই সুবাদেই কী সায়নীর এক অন্য পরিচয় বর্তমান। সদ্য তৃণমূলের যুব নেত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সেই পথে চলার পাথেয়ও সেই মুক্ত চিন্তা-বিশ্বাস। এমনটাই একাধিকবার জানিয়েছেন তিনি।
প্রথম সারির এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়ে ছিলেন, এই গুরুদায়িত্ব তাঁকে দেওয়ার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ, এবার তাঁর লক্ষ্য হবে একটাই, নবীনদের এনার্জি ও প্রবীণদের অভিজ্ঞতার মেলবন্ধন ঘটানো। লক্ষ্য এখন ছাত্র সমাজে নেত্রীর বার্তা সঠিক সময় সঠিক উপস্থাপনা করা, মূলত তিন সূত্রে বাঁধতে চান নতুন প্রজন্মের মনোভাবকে, আর তা হল কসমোপলিটন, মর্ডান ও প্রোগ্রেসিভ।
নির্বাচনে সফল না হলেও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার তিনি রেখে চলেছেন। জানিয়েছেন বারে বারে সংস্কার-কুসংস্কার বা গসিপ দিয়ে রাজনীতি নয়, বাস্তবের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে তরুণ সমাজকে ভবিয্যতের জন্য গড়ে তোলাই প্রথম কাজ, যার জন্য প্রয়োজন শিক্ষা, প্রয়োজন সাহস ও মানসিকতা। আর এই মনোভাবকে অস্ত্র করেই এখন নয়া ভূমিকায় বাজিমাত করছেন সায়নী ঘোষ।