সুশান্ত সিং রাজপুত। সেই হাসিখুশি ছেলেটা, যে নাকি মৃত্যুর বিপক্ষে লড়াইয়ের কথা সকলকে বলে গেছেন, তিনি আর নেই। বড্ড কষ্টের এটা মেনে নেওয়া। আকাশমুখী, অঙ্ক পাগল, বইপ্রেমী ছেলেটা আজও চিরঘুমে। এই কঠিন সত্যিটা কেউই যেন মেনে নিতে পারছেন না। মাত্র ৩৪ বছরেই ঝা চকচকে কেরিয়ারে ফুলস্টপ দিয়ে দিলেন তিনি। কেন এমনটা করলেন? এখনও মেলেনি তার কোন সুদুওর। শুধু একটাই শব্দ মানসিক অবসাদ। এই শব্দটাই তিলে তিলে শেষ করছে একাধিক প্রাণ। কত শক্তিই রয়েছে এই ছোট্ট শব্দটার মধ্যে যে মানুষের প্রাণ নিয়ে নিচ্ছে অবলীলায়। তার মৃত্যুর পর থেকেই যেন এই শব্দটার জোর আরও বেড়ে গেছে। সর্বস্তরে এটাই আলোচনা প্রসঙ্গে সকলের মুখে মুখে।
আরও পড়ুন-সুশান্ত আর নেই, খবর পেতেই বুকভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রাক্তন বাগদত্তা অঙ্কিতা...
মানসিক অবসাদ। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গির জানান দিচ্ছেন। এটিও যে একটি গভীর রোগ, তা বোঝে কজন। সুশান্তের মৃত্যুর পরই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন বাঙালি অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। আমিও আত্মহত্যাপ্রবণ, আমিও বহুবার আত্মহত্যার করার চেষ্টা করেছি। তার এই পোস্ট মুহূর্তে নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। দেখে নিন পোস্টটি।
অভিনেত্রী পার্নো মিত্র জানিয়েছেন, 'মানসিক স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমিও বহুবার আত্মহত্যার কথা ভেবেছি। কিন্তু সেই কষ্ট, যন্ত্রণা কখনওই যায়নি। আরও যেন ধীরে ধীরে একটি আস্তরণের মধ্যে ঢুকে পড়েছি যেটা ভাঙা সম্ভব নয় কারোর। কারোর সঙ্গে মন খুলে কথা বলেও এই যন্ত্রণা দূর করা সম্ভব নয়। এটা আপনার নিজের সত্তার একটি অংশে হয়ে যায়।' পার্নো আরও জানিয়েছেন , আমি সকলকে বলতে চাই, যদি এ ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে কারোর সাহায্য চাইতে পারেন। আমিও এটার মোকাবিলা করেছি। তবে আমার বন্ধু এবং আমার পরিবার আমার পাশে ছিল। এবং চিকিৎসকের কাছ থেকেও অনেক সাহায্য পেয়েছি। এবং প্লিজ সোশ্যাল মিডিয়ায় এটিকে ট্রেন্ড না বানিয়ে কাছের মানুষগুলির প্রতি যত্নশীল হোন।
বর্তমানে একটাই খবর চারিদিকে। বলি অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদ ভুগছিলেন অভিনেতা। মানসিক অবসাদে এমন স্টেজে পৌঁছে গেছিলেন যে মৃত্যুটাই বেছে নিয়েছিলেন অভিনেতা। কী এমন কষ্ট মনের মধ্যে চেপে রেখেছিলেন সুশান্ত। তা জানারই আপ্রাণ চেষ্টা। গোটা বলি থেকে টলি অভিনেতা সুশান্ত সিং-এর মৃত্যুর খবরে নড়ে উঠেছে।