ফের নক্ষত্রপতন টলি ইন্ডাস্ট্রিতে। আজই প্রয়াত হলেন বাংলা সিনেমার বিখ্যাত অভিনেতা তাপস পাল। সোমবার ভোররাতে মৃত্যু হয় তার। মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এই রোগের কারণে কথা বলা ও চলাফেরাতেও সমস্যা হচ্ছিল অভিনেতার। ১ ফেব্রুয়ারি বান্দ্রার একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ভেন্টিলেশন থেকে অভিনেতাকে বার করা হয়। গতকাল রাত থেকে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা। রাত ৩ টে ৩৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা তাপস পাল।
তার এই মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই শোকের ছায়া নেমে এসেছে টলি ইন্ডাস্ট্রিতে। টলি মহলের একাধিক নায়িকার সঙ্গে জুটি বেধে সিনেমা করেছেন তাপস পাল। তার এই অকাল প্রয়ানে শোকাহক প্রত্যেকেই। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে টলি অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, 'এই খবরের থেকে খারাপ আর কিছুই হতে পারে না। ২৬ বছরের সম্পর্কের আজ ইতি। আমার প্রথম ছবি 'দুরন্ত প্রেম'। সেখান থেকে আমার অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু। আর আমার প্রথম ছবির অভিনেতা। ভাবতেই পারছি না। বলে কেঁদে ফেললেন অভিনেত্রী। তাপস দা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর খুব ভাল যোগাযোগও ছিল না। নন্দিনী দি, লাবণী দি, অভিষেক সহ আর অনেকেই পুরো পরিবারের মতোন ছিল। পুরোনো দিনের সেই ভাল সময়গুলির কথা ভীষণ ভাবে মনে পড়ছে। কাজের চাপে আর যাওয়া হল না। সেই প্রথম দিনের কাজ থেকে শ্যুটিং ফ্লোরের সেই ঘটনার কথা আজ ভীষণ মনে পড়ছে। উত্তম কুমারের পর বাংলা ছবির সেরা অভিনেতা তাপস পাল। এমনকী প্রসেনজিৎও তেমনটাই বলে। কোনওভাবেই যেন মেনে নিতে পারছি না এই বিষয়টাকে।' জানালেন রচনা ব্যানার্জি।
১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্ম হয় তাপস পালের। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল তাপসের। কলেজে পড়াকালীন অভিনয়ে আসা তাপসের। বাংলা সিনেমার পাশাপাশি হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেন তাপস পাল। পরিচালক তরুণ মজুমদারের 'দাদার কীর্তি' ছবি দিয়ে টলিউডে অভিনয় শুরু করেছুলেন তাপস পাল। অভিনয় জীবনেও নিজের অভিবয়ের জন্য প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। তারপর থেকে একের পর সিনেমায় অভিনয় করে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। 'বলিদান', 'গুরুদক্ষিণা', র মতো সুপারহিট ছবি ছিল তার ঝুলিতে। বলি অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতেও 'অবোধ' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তাপস পাল। ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারও রয়েছে তাপসের ঝুলিতে।
ফের নক্ষত্রপতন টলি ইন্ডাস্ট্রিতে। আজই প্রয়াত হলেন বাংলা সিনেমার বিখ্যাত অভিনেতা তাপস পাল। সোমবার ভোররাতে মৃত্যু হয় তার। মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। এই রোগের কারণে কথা বলা ও চলাফেরাতেও সমস্যা হচ্ছিল অভিনেতার। ১ ফেব্রুয়ারি বান্দ্রার একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ভেন্টিলেশন থেকে অভিনেতাকে বার করা হয়। গতকাল রাত থেকে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা। রাত ৩ টে ৩৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা তাপস পাল।
তার এই মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই শোকের ছায়া নেমে এসেছে টলি ইন্ডাস্ট্রিতে। টলি মহলের একাধিক নায়িকার সঙ্গে জুটি বেধে সিনেমা করেছেন তাপস পাল। তার এই অকাল প্রয়ানে শোকাহক প্রত্যেকেই। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে টলি অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি জানিয়েছেন, 'এই খবরের থেকে খারাপ আর কিছুই হতে পারে না। ২৬ বছরের সম্পর্কের আজ ইতি। আমার প্রথম ছবি 'দুরন্ত প্রেম'। সেখান থেকে আমার অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু। আর আমার প্রথম ছবির অভিনেতা। ভাবতেই পারছি না। বলে কেঁদে ফেললেন অভিনেত্রী। তাপস দা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর খুব ভাল যোগাযোগও ছিল না। নন্দিনী দি, লাবণী দি, অভিষেক সহ আর অনেকেই পুরো পরিবারের মতোন ছিল। পুরোনো দিনের সেই ভাল সময়গুলির কথা ভীষণ ভাবে মনে পড়ছে। কাজের চাপে আর যাওয়া হল না। সেই প্রথম দিনের কাজ থেকে শ্যুটিং ফ্লোরের সেই ঘটনার কথা আজ ভীষণ মনে পড়ছে। উত্তম কুমারের পর বাংলা ছবির সেরা অভিনেতা তাপস পাল। এমনকী প্রসেনজিৎও তেমনটাই বলে। কোনওভাবেই যেন মেনে নিতে পারছি না এই বিষয়টাকে।' জানালেন রচনা ব্যানার্জি
১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্ম হয় তাপস পালের। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল তাপসের। কলেজে পড়াকালীন অভিনয়ে আসা তাপসের। বাংলা সিনেমার পাশাপাশি হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেন তাপস পাল। পরিচালক তরুণ মজুমদারের 'দাদার কীর্তি' ছবি দিয়ে টলিউডে অভিনয় শুরু করেছুলেন তাপস পাল। অভিনয় জীবনেও নিজের অভিবয়ের জন্য প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। তারপর থেকে একের পর সিনেমায় অভিনয় করে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। 'বলিদান', 'গুরুদক্ষিণা', র মতো সুপারহিট ছবি ছিল তার ঝুলিতে। বলি অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতেও 'অবোধ' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তাপস পাল। ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারও রয়েছে তাপসের ঝুলিতে।
২০০১ সালে তৃণমুল কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে পা রাখেন অভিনেতা তাপস পাল। তারপর ২০০৬ সালে পরপর বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন অভিনেতা। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে পরপর দুবার কৃষ্ণনগর লোকসভা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। রাজনীতিতে আসার পর অভিনয়ে সেভাবে বিশেষ নজর কাড়েননি তাপস। ২০১৬ সালের শেষে রোজভ্যালি কান্ডে গ্রেফতার করা হয় তাপসকে। দীর্ঘদিন জেলেও দিন কাটাতে হয়েছে অভিনেতাকে। ২০১৮ সালে তিনি জামিন পান। তারপর রাজনীতিতেও আর দেখা যায়নি তাকে।এই ঘটনার পর দল মুখ ফিরিয়ে নিলেও তাপসের স্ত্রী নন্দিনী সবসময়েই তাপসের পাশে ছিলেন। সিবিআই দফতরে হাজিরা থেকে গ্রেফতারের সময় সবসময়েই পাশে দেখা গিয়েছিল স্ত্রী নন্দিনীকে। এমনকী ভুবনেশ্বর কোর্টে পৌঁছানোর সময়েও তাপসের সঙ্গে গাড়ি থেকে নামেন স্ত্রী নন্দিনী। সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, বিশেষ অনুমতি নিয়েই নন্দিনী তাপসের সঙ্গে ছিলেন।
২০০১ সালে তৃণমুল কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে পা রাখেন অভিনেতা তাপস পাল। তারপর ২০০৬ সালে পরপর বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন অভিনেতা। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে পরপর দুবার কৃষ্ণনগর লোকসভা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। রাজনীতিতে আসার পর অভিনয়ে সেভাবে বিশেষ নজর কাড়েননি তাপস। ২০১৬ সালের শেষে রোজভ্যালি কান্ডে গ্রেফতার করা হয় তাপসকে। দীর্ঘদিন জেলেও দিন কাটাতে হয়েছে অভিনেতাকে। ২০১৮ সালে তিনি জামিন পান। তারপর রাজনীতিতেও আর দেখা যায়নি তাকে।এই ঘটনার পর দল মুখ ফিরিয়ে নিলেও তাপসের স্ত্রী নন্দিনী সবসময়েই তাপসের পাশে ছিলেন। সিবিআই দফতরে হাজিরা থেকে গ্রেফতারের সময় সবসময়েই পাশে দেখা গিয়েছিল স্ত্রী নন্দিনীকে। এমনকী ভুবনেশ্বর কোর্টে পৌঁছানোর সময়েও তাপসের সঙ্গে গাড়ি থেকে নামেন স্ত্রী নন্দিনী। সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল, বিশেষ অনুমতি নিয়েই নন্দিনী তাপসের সঙ্গে ছিলেন।