সারা দেশ জুড়ে করোনা রুখতে লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। করোনা আতঙ্ক রুখতে তৎপর হয়েছে প্রশাসনও। তারপরেও কোনওভাবে আটকানো যাচ্ছে না মারণ ভাইরাসকে। হু হু করে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। এই করোনার আবহে হাসপাতালের সমস্ত ঝক্কি সামলে বাড়ি ফিরলেন বাঙালি অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। অনেকেই হয়তো ভাবছেন তার করোনা হয়েছিল কিনা। বিষয়টি একটু খোলসা করে বলা যাক, করোনা নয়, কিন্তু এই মহামারীতে সকলেই যখন ভয়ে কাঁপছে তখনই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল ঋতাভরীকে। সদ্যই অপারেশন হয়েছে অভিনেত্রীর। বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এখন কেমন আছেন অভিনেত্রী। এই প্রশ্নই উঠছে। সকলেই প্রিয় অভিনেত্রী শারীরিক অবস্থা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। সম্প্রতি মেয়ের বাড়ি ফেরার পর শারীরিক অবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন মা শতরূপা সান্যাল। চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন শতরূপা, 'তিনি জানিয়েছেন, কোভিড ১৯ প্যান্ডেমিকের আতঙ্কে সকলেই ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আছি। প্রায় সব হাসপাতালে বেড অমিল, স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা কমে গেছে, সাধারণ অসুখ বিসুখে ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না।এই যখন অবস্থা, হঠাৎ আমার ছোট মেয়ে ঋতাভরী অসুস্থ বোধ করে। উপসর্গ শুনে আমরা ভেবেছিলাম অর্শ। ডাক্তারও ফোনে শুনেই ওষুধ দিলেন তার। কিন্তু ১৯ তারিখে সকাল থেকেই ব্যথা বাড়তে বাড়তে ক্রমেই অসহ্য হয়ে উঠলো সন্ধ্যের পর।সেই রাত যেন আর কাটেনা, এমন ভয়ংকর! পর পর দুদিন লকডাউন (২০-২১)। কোথায় নিয়ে যাব মেয়েকে? সল্টলেকে ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিকে যোগাযোগ করলাম। যোগাযোগ করলাম প্রখ্যাত সার্জন ডা: নিশীথ কর্মকারকে।দেবদূতের মত এই মানুষটি এক মুহুর্ত দেরী না করে সব ব্যবস্থা করলেন। কোভিড টেস্ট না হলে অপারেশন হবেনা, এখন নিয়ম হয়েছে। বিধান নগর স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে দু ঘন্টার মধ্যে সেটা করে দিল। সেই দিন বিকেলেই অপারেশন হয়ে গেল। জানা গেল- peri anal abscess হয়েছিল। সাংঘাতিক যন্ত্রনাদায়ক অসুখ এটা। দুদিন পর মেয়ে বাড়ি ফিরেছে।এই ঝড় সামলে আমরা এখন অনেক টা শান্তিতে। এই বিপদের সময় যারা পাশে থেকেছ, সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে বলব ড: বিপ্লব চন্দ, শ্রী মধুসূদন দোলাই, রাজর্ষি সরকার, সুমিত অরোরা, অনিকেত চৌধুরী, মধুজা, অরিজিৎ , নন্দিতা সেন, রিংকু হালদার,ড: দেবাঞ্জন পান, শ্রী দেবাশিস জানা( মেয়র ইন কাউন্সিল),ড পার্থ গুহ ( বিধাননগর স্টেটজেনেরাল হসপিটাল)এবং অবশ্যই ড: নিশীথ কর্মকারের কথা। এই অবিশ্বাস ও প্রতারকে ভরা সময়ে এঁদের মত মানুষ ও হার্ট ক্লিনিকের মত প্রতিষ্ঠান , মানুষের প্রতি বিশ্বাস আরো গভীর করে। সবাইকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।'
আরও পড়ুন-লিভ-ইনে বাধনছাড়া সঙ্গম, গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন শ্রীদেবী থেকে মহিমা...
এই মহামারিতে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরায় সকলেই স্বস্তিতে রয়েছে। ডাক্তারদের চিকিৎসাতেই আজ এত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠেছেন ঋতাভরী। সকলকে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন মা শতরূপা। করোনা সংক্রমণে দেশের যা ভয়াবহ পরিস্থিতি তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছুদিন আগেই গর্জে উঠেছিলেন ঋতাভরী। তিনি বলেছিলেন সরকারি হাসপাতাল গুলোতেও ক্রমশ কমছে বেডের সংখ্যা। এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে কোভিড চিকিৎসায় লক্ষ লক্ষ টাকা বিল ধরাচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। বেসরকারি হাসপাতাল গুলি এই জালিয়াতি কান্ডকারখানার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী।