বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। শেষরক্ষা হল না। চলে গেলেন প্রখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদার। অতিমারির সময়ে খুব একটা ভালো ছিলেন না তরুণ মজুমদার। প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন তিনি। ১৫ জুন ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।
আকাশটা আজ বড্ড গুমোট, কোথাও মেঘলা। কোথাও আবার দু পশলা বৃষ্টি। প্রকৃতিও যেন আজ 'আলো' হারিয়েছে নিজের। সারা জীবন ধরে সাধারণত্বের উদযাপন করে এসেছেন যে পরিচালক, আজ তাঁর চলে যাওয়ার দিন। ছোট ছোট কথা, ছোট ছোট ব্যথায় সরলীকরণ করে গিয়েছেন জীবনের। জটিলতা নয়, সুন্দর মন ভালো করা সকালগুলো রেখে চলে গিয়েছেন তরুণ মজুমদার। আজ তাই চাঁদের বাড়ি আর ভালবাসার বাড়ির ঠিকানা হারিয়ে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
এদিন পরিচালকের মৃত্যুতে ঋতুপর্ণা বলেন, "মনটা খুবই ভারাক্রান্ত লাগছে। ওঁর সঙ্গে কাজের অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমরা প্রথম ছবি করেছিলাম আলো। যা বাংলা সিনেমায় একটি বড় জায়গা তৈরি করে দিয়েছিল। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটি ল্যান্ডমার্ক ছবি। এরপর চাঁদের বাড়ি করেছি। সম্প্রতি ভালবাসার বাড়ি ছবিটি করেছি। উনি বাংলা সিনেমার স্তম্ভ। ওঁর অবদানের শেষ নেই। মনটা খুব অস্থির হয়ে আছে।"
বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। শেষরক্ষা হল না। চলে গেলেন প্রখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদার। অতিমারির সময়ে খুব একটা ভালো ছিলেন না তরুণ মজুমদার। প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন তিনি। ১৫ জুন ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। বার্ধক্য জনিত নানা অসুখে তিনি ভুগছিলেন। শনিবার থেকে শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। রবিবার সমস্যাটা আরও বাড়ে। জানা যায় তিনি ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। তাঁর সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তাঁর ডায়ালিসিস শুরু হয়।
সোমবার সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে তাঁর জীবনাবসান হয়। এদিন সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ষীয়ান পরিচালককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তাঁর চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ডে ছিলেন, চেস্ট মেডিসিন চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু, নেফ্রলজিস্ট অর্পিতা রায়চৌধুরী, কার্ডিওলজিস্ট সরোজ মণ্ডল, মেডিসিন চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষ, নিউরো মেডিসিন চিকিৎসক বিমান রায়।
পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন তরুণ মজুমদার। পদ্মশ্রী সম্মানেও সম্মানিত হয়েছেন। তবে তাঁর সেরা প্রাপ্তি বাঙালি চলচ্চিত্রপ্রেমীদের ভালোবাসা। ‘দাদার কীর্তি’র স্রষ্টার রক্তচাপ ছিল নিচের দিকে। তাই স্বাস্থের খুঁটিনাটি আরও ভালভাবে খতিয়ে দেখেছিল মেডিকেল বোর্ড। এই পরিচালক দিন কয়েক আগেও এক তথ্যচিত্রের রেকি করতে পৌঁছে গিয়েছিলেন পুরুলিয়ায়। অনীক দত্তের অপরাজিত’র স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং-এ হাজির ছিলেন, অনীকের ছবি দেখে নিজের মুগ্ধতাও প্রকাশ করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরেই কিডনির সমস্যা ছিল বর্ষীয়ান পরিচালকের। তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। সেকেন্ডারি ইনফেকশনও ছিল বলে খবর। এর আগেও একবার তরুণ মজুমদারের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। সেই সময় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছিল।