Shantanu Moitra: ১০০ দিনের হিমালয় অভিযান শেষ, কোভিডে মৃতদের শ্রদ্ধা জানাতে সাইকেলে গোমুখ থেকে গঙ্গাসাগর

মাত্র আড়াই মাস আগে বাবাকে হারিয়েছেন শান্তনু মৈত্র, করোনায় কেড়ে নিয়েছে বাবার প্রাণ। সেই থেকেই বুকের মধ্যে চাপা যন্ত্রণা বহন করে বেরাচ্ছেন পড়েছিলেন এই সুরকার। 

Jayita Chandra | Published : Nov 30, 2021 11:17 AM IST

সাইকেলে চরে গোমুখ থেকে গঙ্গাসাগর, সুরকার শান্তনু মৈত্র (Shantanu Moitra) কোথাও গিয়ে যেন করোনায় মৃত্য ও পরিস্থিতির অমোঘ পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। কোথাও গিয়ে যেন আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মত তিনিও করোনার (Corona) এই অভিশাপ মেনে নিতে পারছিলেন না। হাজার হাজার পরিবারের সদস্যদের হঠাৎই মৃত্যু, তাঁরই মত একা হয়ে গিয়েছে কত পরিবারের কত সদস্য। মাত্র আড়াই মাস আগে বাবাকে হারিয়েছেন শান্তনু মৈত্র (Shantanu Moitra), করোনায় কেড়ে নিয়েছে বাবার প্রাণ। সেই থেকেই বুকের মধ্যে চাপা যন্ত্রণা বহন করে বেড়িয়ে পড়েছিলেন এই সুরকার। 

সঙ্গে ছিল তাঁর সাইকেল, গোমুখ (Gomukh) থেকে গঙ্গাসাগর (Gangasagar), উৎস হতে মোহনার পথে গঙ্গার পার ধরে তাঁর সফরনামা শেষ হল সোমবার। এদিন গঙ্গাসাগরে পৌঁছে জানান তিনি, শুরুতে এতটা আশা করেননি তিনি, যে সত্যি সম্ভবপর হবে সাইকেলে করে এই পথ অতিক্রম করা। অবশেষে সেই পথ এসে ফুরোলো গঙ্গাসাগরে, এখানেই এদিন তাঁর স্ত্রী ও মা উপস্থিত হন শান্তনুকে (Shantanu Moitra) নিতে। এই চলার পথে শত শত স্মৃতি, এই চলার একাধিক পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ হয় শান্তনুর (Shantanu Moitra), যাঁরা কোভিডের কারমে হারিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের।

আরও পড়ুন- Rachna-Madan : বাবা হলেন দাদু, রচনাকে সান্তনা দিতে গিয়ে চরম ট্রোলড হলেন মদন মিত্র

আরও পড়ুন- Chick Flick 2: মুক্তি পেল ক্লিক ফ্লিক ২, খরাজ থেকে সুদীপা-সায়নদের নয়া চমক

এই পুরো যাত্রায় ছিল অ্যাডভেঞ্চার, ছিল হরেক রকমের স্মৃতিতে মোড়া রোজনামচা, বাবার মৃত্যু এখনও পর্যন্ত মানতে পারছেন না তিনি, একাকিত্ব বড় অভিশাপ বলেও জানান শান্তনু মৈত্র (Shantanu Moitra) । তিনি অনেকের কাছে আবেদন করেছিলেন করোনায় হারানো কাছের মানুষের ছবি পাঠাতে, তাঁদের আত্মার শান্তি কামনাতেই এই শান্তনু মৈত্রের (Shantanu Moitra) সফর। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি শেয়ার করেন শান্তনু তাঁর এই সফর থেকে। সেখানে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আলাপের ছবিও ফুঁটে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। 

গঙ্গাসাগরে শ্রীধাম হাইস্কুল একটি জায়গা দিয়েছে শান্তনুকে (Shantanu Moitra), সেখানেই রাখা হবে এই সকল সদস্যদের ছবি। পোঁতা হবে তুলসী গাছ, বানানো হবে বেদি, সকলে সেখানে জল দেবে। সকলের কাছে এটিও একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে থাকবে, কোভিডের স্মরণিকা হিসেবে বলে আশা শান্তনুর (Shantanu Moitra)। তিনি প্রত্যেক দিন ৮০-১০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়েছেন। তাঁর এই সফর যে সত্যিই পূর্ণ হবে, তিনি তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। 

Share this article
click me!