হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তাপস পাল। মুম্বই হাসপাতাল থেকে প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় মঙ্গলবার সকালে। ৬১ বছর বয়সে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরেন তিনি। ২০১৬ থেকেই শরীর স্বাস্থ্য ভালো যাচ্ছিল না তাঁর। শরীরে বাসা বেঁধেছিল একাধিক রোগ। স্নায়ু রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। শরীরে ধরছিল ভাঙন। কিন্তু কোথাও গিয়ে যেন চিকিৎসায় ফল মিলছিল না।
আরও পড়ুনঃ নায়ক থেকে খলনায়ক, মমতার হাত ধরে রাজনীতিতে আসাই কি কাল হল তাঁর
অবশেষে ১৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরেন তাপস পাল। রাত ৩ টে ৩৫ নাগাদ তাঁর মৃত্যু ঘটে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁকে ভর্তি করা হয় হোলি চাইল্ড হাসপাতালে। সেখানেই প্রয়াত হন অভিনেতা। মৃত্যুর সময় পাশে ছিলেন তাঁর কন্যা সোহিনী ও স্ত্রী নন্দিনী। মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ মরদেহ নিয়ে আসা হবে কলকাতায়। রাতভোর রাখা থাকবে দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতেই। বুধবার অভিনেতা তথা প্রাক্তন সাংসদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
শেষ সময় পাশে ছিল না কেউই। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জীবনের শেষ কটা দিন কষ্টেই কেটেছিল অভিনেতার। মেয়ের কাছে যাওয়ার জন্যই রওনা দিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎই মুম্বইতে অসুস্থ হয়ে পরেন তাপস পাল। সেখান থেকেই বান্দ্রা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই তাঁকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। সেখান থেকে ছাড়া হয় ৬ ফেব্রুয়ারি। অভিনেতার মৃত্যুতে টলি-পাড়ায় নামে শোকের ছায়া।