হঠাৎই নিজের শৈশবের স্কুলে হাজির অরিজিৎ সিং।নিজের জন্মস্থান মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে সময় পেলেই চলে যান অভিনেতা, এবার সটান হাজির হলেন তাঁর শৈশবের স্কুলে, স্কুল শিক্ষিকার পায়ের কাছে বসে অনেক গল্প করলেন তিনি, নেট-দুনিয়ায় এখন ভাইরাল সেই ছবি। এতদিন পরে নিজের শৈশবের স্কুলে গিয়ে কেমন অনুভূতি গায়কের? আর তাঁর শিক্ষিকাই বা কেমন প্রতিক্রিয়া দিলেন এতদিন পর নিজের ছাত্র তথা ভারতবর্ষের জনপ্রিয় গায়ক কে সামনে দেখে? চলুন জেনে নি।
তাঁর কন্ঠের জাদুতে নিমেষে বশ করে ফেলেন অসংখ্য মানুষের হৃদয়, তিনি যাতেই কণ্ঠ দেন তাতেই ফলে সোনা, হ্যাঁ ঠিকই বুঝেছেন কথা হচ্ছে অরিজিৎ সিং- এর বিষয়। সদ্য নেটে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে জনপ্রিয় গায়ক কে এদিন দেখা গেল, ছোট শিশুর মতন সহজ সরল ভাবে একজন ভদ্রমহিলার পাশে মাটিতে বসে থাকতে। মুখে একরাশ আনন্দের ছাপ। জানেন? এই ভদ্রমহিলাটি অরিজিৎ সিং-এর ছোটবেলার স্কুল শিক্ষিকা।
অরিজিৎ শুধু একজন প্রতিভাবান ভালো গায়কই নন, মানুষ হিসেবেও অত্যন্ত সাদা-মাটা সহজ-সরল যাকে এক কথায় বলে 'ডাউন-ট্যু-আর্থ'। তিনি বরাবরই মাটির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসেন। বাংলা থেকে বলিউড তথা গোটা ভারতবর্ষের বড় বড় প্রোডাকশন হাউজগুলি যাকে দিয়ে নিজের সিনেমায় অন্তত একটি গান গাওয়ানোর স্বপ্ন দেখেন। গোটা ভারতবর্ষের হৃদয় যিনি রাজ করেন সেই জনপ্রিয় গায়ক কিনা দামি গাড়ি নয় বরং নিজের শৈশবের ভাঙা সাইকেলে করে নিজের জন্মস্থান জিয়াগঞ্জের পথে-ঘাটে নিজের পুরোনো বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দেন। কর্মসূত্রে মুম্বাই তাঁর বর্তমান ঠিকানা হলেও, সময় পেলেই তিনি চলে আসেন নিজের জন্মস্থান জিয়াগঞ্জে, পুরোনো বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটান।এবার সদ্য বিদেশ থেকে কনসার্ট শেষ করে মুর্শিদাবাদে এসে গায়ক আচমকাই হাজিরা দেন তাঁর শৈশবের স্কুল, রাজা বিজয় সিং বিদ্যামন্দিরে। দেখা করেন ইংরেজি শিক্ষিকার সঙ্গে, প্রণাম করলেন তাঁকে। স্কুলশিক্ষিকার পায়ের কাছে বসে দিব্যি হাসি মুখে গল্প করে চলেছেন সেলেব্রিটি গায়ক। সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ছবি।
কোথায় স্টারডম কোথায় কি? সবকিছুকে দূরে সরিয়ে রেখে শৈশবের শিক্ষিকার পায়ের কাছে বসে বিনম্রচিত্তে গল্প করে চলেছেন গায়ক। ঠিক যেন নিজের ছোটবেলাতেই ফিরে গেছেন।গল্প করতে করতে নিশ্চই শৈশবের অনেক স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন ছাত্র ও তাঁর শিক্ষিকা। তাঁর মুখে-চোখে ফুটে ওঠা শিশুসুলভ হাসি সে কথাই বুঝিয়ে দিচ্ছিল বারবার। শিক্ষিকার মুখেও প্রাণ ভরা হাসি।
তাঁর শিক্ষিকা সুনীতা দেবী প্রতিক্রিয়ায় জানান,' গত বৃহস্পতিবার আমাদের স্কুলে এসেছিল অরিজিৎ, ক্লাস ফাইভ থেকে আমাদের স্কুলে পড়েছে ও। আজ অরিজিৎ বড় গায়ক, মানুষ হিসেবেও অত্যন্ত ভালো, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ধ্বং ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও অত্যন্ত সহজে মিশে যায়, ভীষণ ডাউন টু আর্থ, স্কুলে এসে কথা বললো, ওর সঙ্গে কথা বলে খুবই ভালো লেগেছে। যত বড়ই হোক, সেতো আমাদের কাছে ছাত্রই, আজ ও যে খ্যাতি অর্জন করেছে তা সম্পুর্ণ নিজের যোগ্যতায় আর গুণে। আমাদের সত্যি গর্ব হয় ওর এই সাফল্যে।'
নিজের স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন অরিজিৎ, এর আগেও নিজের স্কুলে অনেকবার গেছেন তিনি, কিন্তু সুনীতা দেবীর সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা হওয়ায় খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন গায়ক,স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য জানান, অরিজিৎ সভাপতি পদে দায়িত্ব নেয়ার পর বৃহস্পতিবার স্কুলে আসেন স্কুলের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা করেন তিনি সবার সঙ্গে, এবং স্কুলের কমিটি কিভাবে কাজ করে সব কিছুই তিনি ভালোভাবে জেনে গিয়েছেন। স্টারডম, জনপ্রিয়তা এগুলি যে তাঁর ভিতরের খাঁটি মানুষটির ওপর কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি এটাই তাঁর সবচেয়ে বড় প্রমাণ
আরও পড়ুন,জানেন কি? একে অপরের 'হরি-হর আত্মা' এই বলিউড সেলেবরা!
আরও পড়ুন,নাগিন ৬-এর নতুন ভিলেন অর্জুন কপূর! হঠাৎ সিনেমা ছেড়ে সিরিয়ালে কেন?