শহরে ফের উঠতি মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। পল্লবী, বিদিশা, মঞ্জুষাদের পর এবার কসবার বাড়ি থেকে সরস্বতি দাসের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উঠতি মডেল সরস্বতির রহস্য মৃত্য়ু ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
শহরে ফের উঠতি মডেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। পল্লবী, বিদিশা, মঞ্জুষাদের পর এবার কসবার বাড়ি থেকে সরস্বতি দাসের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উঠতি মডেল সরস্বতির রহস্য মৃত্য়ু ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, একমাসও হয়নি, টলি পাড়ার পল্লবী দে মজুমদার দেহ উদ্ধারের পর একের পর এক রহস্য মৃত্যর ঘটেছে। পল্লবীর পর শহরের উঠতি মডেল বিদিশা দে মজুমদার এবং তারপর ৪৮ ঘন্টা পেরোনোর আগেই বান্ধবী মঞ্জুসার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেন এই একের পর এক ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন এরা, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। কেন সম্পর্কের টানাপোড়েন, চাওয়া পাওয়া মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে, প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, ১৯ বছর বয়সী সরস্বতী সম্প্রতি কয়েকটি ফটোশ্যুটের কাজ করছিলেন। কিন্তু কেন তিনি আত্মঘাতী হলেন, তা এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, ১৯ বছর বয়সী সরস্বতী সম্প্রতি কয়েকটি ফটোশ্যুটের কাজ করছিলেন। পেশায় মেকাপ আর্টিস্ট ছিলেন সরস্বতী। সেই সঙ্গে বাড়িতে আঁকার ক্লাসও করাতেন। তাঁর হাতে লেখা একটি চিরকূটও মিলেছে। তাতে লেখা, 'মা আমি তোমায় খুব ভালবাসি।' জানা গিয়েছে পেশাদার মডেল হওয়ার স্বপ্ন ছিল সরস্বতীর। সেজন্য ফটোশ্যাুটও করতেন। পাশাপাশি টিকটকে উৎসাহী ছিলেন তিনি। এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে। সরস্বতীর ফোনের পাসওয়ার্ড ভাঙার চেষ্টা করছে পুলিশ। অনুমান, ফোন থেকেই একাধিক তথ্য হাতে আসতে পারে। তাহলেই বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, টেলি পাড়ায় সদ্য মডেল অভিনেত্রী পল্লবী দে- উদ্ধার করা হয়েছে। যা নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হয়েছে। নিছকই আত্মহত্যা, নাকি খুন, নাকি আত্মহত্যায় প্ররোচনা, প্রশ্নে উঠে আসে। অভিনেত্রীর মা-বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তার লিভইন পার্টনারকে গ্রেফকার করা হয়। পল্লবী বাংলা টেলি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন। এরপর পরইগত সপ্তাহে বুধবার দমদমের নাগেরবাজার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে উঠতি মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা মজুমদারের -র দেহ।আর সেই খবর পেয়ে ঘরে বসে থাকতে পারেন বিদিশা-র বান্ধবী দিয়া-নেহারা। তাঁদের মুখ থেকেই জানা যায়, অনুভব নামে একটি ছেলেকে সে ভালবাসত। এদিকে অুভবের একাধিক গার্লফ্রেন্ড মেনে নিতে পারছিল না তাই বিদিশা। তারপরেই এই ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে মডেল ও অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদারের দেহ উদ্ধারের পরপরই উদ্ধার বান্ধবী মঞ্জুষা নিয়োগীর দেহ। পাটুলির ফ্ল্যাট থেকে শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয়েছে বিদিশার মডেল অভিনেত্রী বান্ধবী মঞ্জুষার দেহ। মঞ্জুষাও বিদিশার মতোই অভিনয় জগতে যুক্ত। উল্লেখ্য, টেলি পাড়ায় পল্লবী দে-র দেহ উদ্ধার হয়েছিল কিছু আগেই। আর তার পরপরই পল্লবীরও এক বান্ধবীর দেহ উদ্ধার হয়। এহেন পরপর টেলি জগতে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ছে কলকাতায়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্ত হচ্ছে কী করে বারবার, একগুচ্ছে প্রশ্নের সামনে গোটা টলি পাড়া। আত্মহত্যা নাকি খুন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।