লকডাউনের চতুর্থ দফার শেষে একের পর এক বৈঠক শুরু হয় টলিপাড়ায়। শ্যুটিং নিয়ে নিয়মাবলী খানিক শিথিল হতেই সবুজ সংকেত পেয়েছিল বিনোদন জগত। তারপরই তড়িঘড়ি শুরু হয়েছিল ব্যবস্থা নেওয়ার পর্ব। কবে শ্যুটিং, কীভাবে শ্যুটিং। সতর্কতার দিকে কড়া নজর রেখে রাতারাতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল গাইড লাইনই। ১০ জুন থেকে শুরু হবে শ্যুটিং। হাঁসি ফিরেছিল তারকা, টেকনিশিয়ানদের মুখে।
আরও পড়ুনঃ ১০০০ পরিযায়ী শ্রমিককে পাঠাবেন বাড়ি, ৬টা চাটার্ড বিমান বুক করলেন অমিতাভ
কিন্তু বুধবার সকালের ছবিটা গেল পাল্টে। খুলল না স্টুডিওর গেট, শুরু করা গেল না শ্যুটিং, নেপথ্যে বীমা নিয়ে বচসা। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এদিন জানান হয়, বীমা নিয়ে আর্টিস্ট ফোরাম, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ও প্রযোজক সংস্থার মধ্যে বিবাদের জেরেই সমস্যার সূত্রপাত। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে সবার আগে যা প্রয়োজন, তা হল শ্যুটিং শুরু করা। লক্ষাধিক মানুষ জড়িয়ে রয়েছেন এই জীবিকার সঙ্গে।
টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে তারকারা, বুধবার সকালের ছবিটা দেখে হতবাক। টলিউডে ঘোষিত জনপিছু বীমার অঙ্কটা বেজায় বেশি। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এদিন জানানো হয়, ভারতের কোনও প্রান্তেই করোনার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা বীমা ঘোষণা করা হয়নি। ফলে অর্থের অঙ্কটা যেমন বেশি, ঠিক তেমনই তা প্রয়োগ হতেও খানিকটা সময় লাগবে। এদিন সকলের উদ্দেশ্যে আর্জি করে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দ্রুত শুরু করা হোক শ্যুটিং, নয়তো আরও অুন্ধকারের দিকে এগিয়ে যাবে টলি-পাড়া।