আর মাত্র কিছু সময়। তারপরেই সমাপ্তি একটা যুগের। ইতিমধ্যেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের উদ্দেশ্যে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির মাথার ছাদ সরে গেলে খনিকের সময়ে। একটানা দীর্ঘ ৪০ দিনের লড়াই শেষ। ফেলুদা আর নেই। যত সময় এগোচ্ছিল ততই যেন পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হচ্ছিল ফেলুদার। টানা ৪০ দিন ধরে চলছিল জীবন-মৃত্যুর লড়াই। অদম্য ফাইটিং স্পিরিট নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাঙালির ফেলুদা। অবশেষে আর পারলেন না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি এগোচ্ছিল খারাপের দিকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাদের সব রকম চেষ্টা সত্বেও কোনও কিছুই কাজ হচ্ছে না। কিন্তু লড়াকু মানুষটির থেকে আরও একবার কামব্যাকের আশা করেছিলেন সকলে। কিন্তু শেষরক্ষা আর হল না। মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই বেলভিউ হাসপাতালে পৌঁছালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের উদ্দেশ্যে। সন্ধ্যা ৬.৩০ টার মধ্যেও গান স্যালুট দিয়ে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। অভিনেতার ছবি , কাট আউট নিয়ে পদযাত্রায় সামিল হয়েছেন হাজার হাজার অনুরাগী। তাদের সঙ্গে হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পদযাত্রা করে কেওড়াতলায় যাওয়ার পরই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। রবীন্দ্রসদন থেকে কেওড়তলা মহাশ্মশানের পথে অংশ নিয়েছেন হাজারো মানুষ।
দীর্ঘ ৪০ দিন লড়াইয়ে অবশেষে হেরে গেলেন সৌমিত্র বাবু। তবে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন তিনি। শেষ হয়ে গেল একটা অধ্যায়। তার এই প্রয়াণে বাংলা সিনেমার এর যুগের অবসান ঘটল। বাঙালির মনে তিনি অবিনশ্বর। কয়েকদিন চিকিৎসায় সাড়া দিলও গত শনিবার রাতের পর থেকেই তার শরীর আরও খারাপ হতে শুরু করে। তারপরেই আজ বেলাতেই ঘোষণা করা হয় তার মৃত্যুসংবাদ। চিকিৎসক সহ গোটা টিম তার কামব্যাকের অপেক্ষায় থাকলেও সকলকে চিরতরে বিদায় জানালেন বাঙালির ফেলুদা। প্রতিদিনই যেই মানুষটার শারীরিক অবস্থা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছে আপামর বাঙালি, সেই সকলের প্রিয় ফেলুদা আর নেই। দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। চিকিৎসকেরা আশার আলো দেখছিলেন শেষ মুহূর্তে। কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হল না। রবিবার ১২ টা ২০ নাগাদ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে বেলভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।