সম্প্রতি করোনা মোকাবিলায় ত্রস্ত হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। লকডাউনের জেরে বহু ছবির মুক্তি বন্ধ হয়েছে। আবার বহু ছবির শুটিংও বন্ধ হয়ে গেছে। লকডাউনের মুখেই মুক্তি পেয়েছিল প্রয়াত ইরফান খানের শেয ছবি 'আংরেজি মিডিয়াম'। লকডাউনের কারণে যা বক্স অফিসে ব্যবসা করতে পারেনি। তাই কোনও উপায় না পেয়ে ডিজিটালে ছবির প্রিমিয়ার করা হয়েছিল। সঙ্কট পরিস্থিতিতে ছবি মুক্তি নিয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মকেই বেছে নিয়েছেন ছবি নির্মাতারা। এহেন পরিস্থিতিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নয় বরং বড়পর্দাতেই মুক্তি পেতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত ছবি 'সূর্যবংশী' ও '৮৩'। যা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন দর্শকেরা।
লকডাউনেরও মধ্যে সিনেমাপ্রেমীদের জন্য সুখবর। আগামী দীপাবলিতে মুক্তি পেতে চলেছে রোহিত শেট্টি পরিচালিত ছবি 'সূর্যবংশী'। ছবিটি গত মার্চ মাসের ২৪ তারিখেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। অপর দিকে কবীর সিং পরিচালিত ছবি '৮৩' ছবি মুক্তি পাবে এই বছরের ক্রিসমাসে। যেটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ১০ এপ্রিল। কিন্তু মহামারীর কারণেই বন্ধ করা হয়েছিল সিনেমা হল থেকে সর্বত্র। আর সেই কারণেই পিছিয়ে দিতে হয়েছিল ছবি মুক্তির দিনও।
করোনা মহামারীর কারণেই বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ছবিকে সরাসরি ডিজিটালেই মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে সুজিত সরকার পরিচালিত ছবি 'গুলোবো সিতাবো'। যা মুক্তিও পেয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বিদ্যা বালন অভিনীত 'শকুন্তলা দেবী', জাহ্ণবী কাপুরের 'গুঞ্জন সাক্সেনা-দ্য কার্গিল গার্ল', সুশান্ত সিং রাজপুত অভিনীত শেষ ছবি 'দিল বেচারা', অক্ষয় কুমারের 'লক্ষ্মী বম্ব', আলিয়া ভাটের 'সড়ক টু', সহ আরও বেশ কয়েকটি ছবি। যেগুলি প্রতিটিই মুক্তি পাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এই পরিস্থিতিতে '৮৩'এবং 'সূর্যবংশী'-র বড়পর্দায় মুক্তির খবরে উচ্ছ্বসিত সিনেমাপ্রেমীরা।
লেজেন্ডের বায়োপিক আসতে চলেছে সিনেমার পর্দায়। আর এই লেজেন্ডের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে রণবীর সিংকে। পরিচালক কবীর খানের আপকামিং স্পোর্টস ড্রামা '৮৩'-তে কপিল দেবের নেতৃত্বে ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস তুলে ধরা হবে সিনেমার পর্দায়। ছবি ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা তুঙ্গে। অন্যদিকে সাহসী, লড়াকু পুলিশ অফিসারের কাহিনি নিয়ে হাজির সূর্যবংশী। পুলিশের চরিত্রে দেখা যাবে বলিউডের খিলাড়ি অক্ষয় কুমারকে। প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধার খানিকটা আশাবাদী। কারণ ছবিগুলি আরও ৫-৬ মাস পরে রিলিজ হবে। আর বর্তমান পরিস্থিতিও খানিকটা ঠিক হয়ে যাবে বলেই আশাবাদী তিনি। আর সেই কারণেই উৎসবের মরশুমকেই বাছা হয়েছে।