বছর দুয়েক আগে মা হয়েছেন অমৃতা। তাঁর ও আর জে আনমোলের সংসার আলো করে এসেছে একরত্তি বীর। ২০২০ সালের নভেম্বরে বীরের জন্ম হয়। তবে ওই দিনটা দেখার জন্য দীর্ঘ চার বছর ধরে অনেক লড়াই করতে হয়েছে অমৃতা ও আনমোলকে।
বলিউড জার্নি খুব বেশি দিনের না হলেও ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন অভিনেত্রী অমৃতা রাও। একাধিক প্রথম সারির বলি তারকার সঙ্গেও স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তারপর সিলভার স্ক্রিন থেকে একেবারেই দূরে চলে যান। অভিনয় জগত থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। এরপর আর জে আনমোলের সঙ্গে বিয়ের পর পুরোপুরি সংসারী হয়ে যান। তবে সিলভার স্ক্রিন থেকে দূরে থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় অমৃতা। মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন মজাদার ভিডিও পোস্ট করেন। আর এবার নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে নিজের প্রেগনেন্সির সময়কার লড়াইয়ের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন অভিনেত্রী। কতটা যুদ্ধ করে তিনি মা হয়েছেন সেকথা জানিয়েছেন।
বছর দুয়েক আগে মা হয়েছেন অমৃতা। তাঁর ও আর জে আনমোলের সংসার আলো করে এসেছে একরত্তি বীর। ২০২০ সালের নভেম্বরে বীরের জন্ম হয়। তবে ওই দিনটা দেখার জন্য দীর্ঘ চার বছর ধরে অনেক লড়াই করতে হয়েছে অমৃতা ও আনমোলকে। নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল ‘কাপল অফ থিংস’-এ একটি ভিডিওর মাধ্যমে নিজের মা হয়ে ওঠার লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে মাতৃত্বকালীন সময়কার কথা শেয়ার করে অমৃতা জানান, সন্তানের জন্য সারোগেসি থেকে আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথ, আইভিএফ কিছুই তাঁরা বাদ দেননি। যখন কিছুতেই সন্তান আসছিল না, তখন কেউ তাঁদের পরামর্শ দিয়েছিল সারোগেসি পদ্ধতি অবলম্বন করতে। তাঁরা তাও করেন। কিন্তু সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান আসার আগেই গর্ভেই সেই সন্তানের মৃত্যু হয়। সারোগেসির কথা শুনে অমৃতা ভেবেছিলেন, তাঁকে তো আর অন্তঃসত্ত্বা হতে হবে না। ভালোই হয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে আবার গর্ভস্থ অবস্থায় সন্তান নিজের মায়ের বদলে সারোগেট মায়ের স্বভাব চরিত্র পাবে। সারোগেট মা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর, অমৃতা ও আনমোল প্রথমবার তাঁদের ভাবী সন্তানের হৃদস্পন্দন শুনেছিলেন। বেশ খুশি ছিলেন তাঁরা দু'জনেই। তবে ভাবতে পারেননি সেই আনন্দ মাত্র কয়েকদিনের।
আরও পড়ুন- বিয়ের আগেই উদ্দাম সহবাস, আথিয়ার জন্যই কি মুম্বইতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিলেন কে এল রাহুল
কিন্তু, তার কিছুদিন পরেই খবর আসে, যে সেই সন্তান আর নেই। তারপর আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হওয়ার চেষ্টা করেন অমৃতা। কিন্তু, কাজে আসেনি সেটাও। অমৃতা বলেন, 'যখন কোনও কিছুই কাজ করছে না, তখন আমরা একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিই। কিন্তু আয়ুর্বেদিক ওষুধ আমার শরীরে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করছিল। আমার ত্বকে সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। মন একেবারে ভেঙে গিয়েছিল। তবে আশা ছিল যে একদিন না একদিন সন্তান ঠিক আসবেই।' বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পদ্ধতি চেষ্টা করার পর আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর ২০২০ সালের শুরুর দিকে তাঁরা তাইল্যান্ডে বেড়াতে যান। আর সেখান থেকে ফেরার পরই অমৃতা জানতে পারেন যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। তারপর ওই বছরই নভেম্বরে জন্ম হয় তাঁদের পুত্র সন্তান বীরের।
আরও পড়ুন- আম্বানিদের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন এই সুপার হট বলিউড নায়িকা, চেনেন তাকে?
তবে শুধুমাত্র অমৃতাই নন। এই লড়াই করতে হয় বহু মহিলাকেই। শত চেষ্টা করেও অনেকে সন্তানের মুখ দেখতে পান না। তাঁদের উদ্দেশে অমৃতার বার্তা, "আবেগ নিয়ে চলবেন না। কোনও কিছুই আমাদের হাতে নেই।" ছোট ক্যারিয়ারে একাধিক ছবি করেছেন অমৃতা। শাহিদ কাপুরের বিপরীতে 'বিবাহ' ও শাহরুখ খানের সঙ্গে 'ম্যায় হুঁ না' ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করে প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে শেষবার পর্দায় দেখা গিয়েছিল 'ঠাকরে' ছবিতে।