ঠিক কী ঘটেছিল ২ অক্টোবর, আরিয়ানকে ক্রুজ থেকে কী অবস্থায় তোলা হয়, কী কী ঘটে সেই রাতের পার্টিতে, সবটাই চাক্ষুস করেছিলেন প্রভাকর সাইল, যার ফলে সাক্ষীর নামের তালিকাতে তাঁর নামটাই প্রথমে আসে।
দিন দিন আরিয়ান কেসে (Aryan Case) নয়া মোড় সামনে আসছে, তবে এবার প্রকাশ্যে ঝড় তুলল এক নতুন সূত্র, যেখানে কটাক্ষের আঙুল এনসিবির (NCB) দিকে। ঠিক কী ঘটেছিল ২ অক্টোবর, আরিয়ানকে ক্রুজ থেকে কী অবস্থায় তোলা হয়, কী কী ঘটে সেই রাতের পার্টিতে, সবটাই চাক্ষুস করেছিলেন প্রভাকর সাইল (Prabhakar Sail), যার ফলে সাক্ষীর নামের তালিকাতে তাঁর নামটাই প্রথমে আসে। তবে এই তন্দন্তের মোড় ঘুরিয়ে এবার বিস্ফোরক তথ্য এলো সামনে। রীতিমত প্রাণের ভয়ে কাঁপছেন তিনি। তাঁকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে সাদা কাগজে। যার ভিত্তিতে তাঁকে গুম করা হতে পারে, বা মেরে ফেলা হতে পারে বলেই তাঁর ধারনা।
ঘটনার মূলে রয়েছে আরও এক গুরুতর অভিযোগ। গোসাভাই (Gosavai), এক প্রাইভেট গোয়েন্দা, তাঁরই ব্যক্তিগত বডিগার্ড হলেন প্রভাকর সাইল। এবার এক চুরান্ত তথ্য সামনে এনে জানান, এক আর্থিক বেআইনি লেনদেনের বিষয় তিনি জানেন। যেখানে স্পষ্ট বলতে শোনা যায় ২৫ কোটির বদলে চুক্তি করতে হবে ১৮ কোটি টাকা, কারণ এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেরকে (Sameer Wankhede) দিতে হয়েছে ৮ কোটি টাকা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি একটি এফিডেফিটও (affidavit) ফাইল করেন। সেখানেই তিনি আরও জানান, আরিয়ানকে ছাড়ার জন্য অফিসার টাকার দাবী করেছিলেন, শুধু তাই নয়, যেদিন আরিয়ানকে তোলা হয়, সেদিন তাঁকে গোসাভাইয়ের গাড়িতেই আনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- শাহরুখ খান বিজেপিতে যোগ দিলেই যেকোনও ড্রাগ চিনির গুঁড়োতে পরিণত হবে, কটাক্ষ মন্ত্রীর
প্রভাকরের কথায়, সেদিনই সাদা কাগজে সই করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সমীর ওয়াংখের। যার নির্দেশ অনুযায়ী ১০টি সই তাঁকে দিয়ে করিয়ে নেওয়া হয়। সঙ্গে নিয়ে নেওয়া হয় আধার কার্ডও। ৩ অক্টোবর এই লেনদেন মর্মেই শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ম্যানেজার পুজা দাদলানি, গোসাভাই ও সাম ডিসুজা সাক্ষাৎ করেছিলেন। উল্টো দিকে সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন সমীর ওয়াংখের। তিনি মুম্বই পুলিশ কমিশনরের (Mumbai Police) উদ্দেশ্যে জানান, এই তদন্তে তাঁকে ফ্রেম করা হচ্ছে, এমনটি এনসিবি-র সম্মানহানি করার চেষ্টাও চলছে। প্রভাকরের কথায় তিনি যতক্ষণে পৌঁছে ছিলেন গোসাভাইয়ের কাছে, তার আগেই কথা হয়, সমীর ওয়াংখেরকে ৮ কোটি দেওয়া নিয়ে। এরপর গোসাভাই তাঁকে এনসিবি-র অফিসে যেতে বলেন। দিনটা ছিল ২ অক্টোবর। তিনি নির্দেশ অনুসারে বোর্ডিং এরিয়াতে পৌঁছে দেখেন সেখানে এনসিবির কর্তাদের সঙ্গে রয়েছেন আরিয়ান খান। সঙ্গে ছিলেন মুনমুন ধমেচা। সেখান থেকেই গোসাভাইয়ের ইনোভাতে আরিয়ান ও এনসিবিরকর্তারা উঠে যান।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি নীল মার্সিডিস গাড়ি আসে। যেখানে থেকে ডাডলানী, সাম ও গোসাভাই বেরিয়ে আসেন। এরপর প্রভাকরকে জানানো হ. তিনি যেন ইন্ডিয়ানা হোটেলের সামনে চলে যান, সেখানে ৫০ লাখ নগদ টাকা তিনি পাবেন, তা যেন সামকে পৌঁছে দেন। কথা মত কাজ হলেও, টাকা থাকে কম, সাম জানান সেখানে ছিল মাত্র ৩৮ লক্ষ টাকা। এরপরের সবটাই ধোঁয়াসা প্রভাকরের কাছে। আর তাই বর্তমানে তিনি প্রাণের ভয়ে খুঁজছেন নিরাপত্তা। মুহূর্তে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র, রীতিমত নেট দুনিয়ায় প্রশ্ন ওঠে এনসিবি-র ভূমিকা নিয়েও। যদিও তাদের পক্ষ থেকে সবটাই ভুঁয়ো বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়।