লতা মঙ্গেশকরের স্মৃতিতে ভাসছে গোটা দেশ। পরিবার ঘিরে এক অদ্ভূত শূণ্যতা, শেষ সময় প্রতিটা মুহূর্তে পাশে ছিলেন আশা ভোঁসলে।
জীবনে কোন মুহূর্তই ফিরে আসার নয়, শৈশবের স্মৃতি (Childhood Memory) ঠিক এতটাই মূল্যবান, চার বোন ও এক ভাই মিলে বেড়ে ওঠা, ছোট থেকেই ভাই বোনেদের মধ্যে বিস্তর মিল। আশা ভোঁসলে ফোন করলেই তা তৎক্ষণাত তুলতেন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। একবার এক রিয়ালিটি শো-তে এক প্রতিযোগীর অনুরোধে কিন্তু কিন্তু করে ফোন করেন লতা মঙ্গেশকরকে আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle), মুহূর্তে ফোন তুলে তিনি সকলের সঙ্গে কথা বলেন। ঠিক এতটাই সহজ সরল মানুষ ছিলেন তিনি। খুব স্বাভাবিক জীবন যাপনে ছিলেন বিশ্বাসী। তাঁর কাছ থেকে সকলেই পেয়েছে এক মাতৃসুলভ আচরণ। তিনি সকলের প্রিয় লতা দিদি। রবিবার বাড়ি ফিরে দিদির সঙ্গে ছোটবেলার ছবি শেয়ার করলেন আশা ভোঁসলে। লিখলেন দিদি আর আমি। মুহূর্তে সেই ছবিতে কমেন্টের বন্যা, শোকবার্তায় ভরে উঠল সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা।
শেষ সময় অনেক চেষ্টা করেছিলেন সকলে, ছিলেন আশা ভোঁসলে, মধ্যরাতে দিয়েছিলেন সুস্থতার খবরও। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। কঠিন লড়াই দীর্ঘ ২৮ দিনের। শনিবার দুপুরেই স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতী ঘটে। তখন থেকেই চলছিল অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট। ডাক্তারের কথায় তিনি প্রাথমিক অবস্থায় টলারেট করছিলেন এই চিকিৎসা পদ্ধতি, রাতের দিকে অবস্থার উন্নতিও ঘটে। কিন্তু রবিবার ভোরেই মেলে ভয়ানক খবর, হঠাৎই স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতী ঘটায় ব্যর্থ হয় সকল চেষ্টা। চির নিদ্রায় লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar No More)। শনিবার মধ্যরাতে মেলে স্বস্তির খবর, সবস্থা স্থিতিশীল সুর -সম্রাজ্ঞী লতাজির (Lata Mangeshkar)। এদিন গোটা দেশ জুড়ে প্রার্থনায় যেন সাড়া দিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস, শনিবার বেলাতেই মিলেছিল দুঃসংবাদ। ২৭ দিনের মাথায় আবারও অবস্থা খারাপের পথে ছিল লতা মঙ্গেশকরের।
আরও পড়ুন- কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি, বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ি-সহ কত পরিমাণ সম্পত্তি রেখে গেলেন লতা
খবর সামনে আসতেই শিল্পী মহল থেকে শুরু ,করে গোটা বিশ্বের ভক্তমহল চোখের জলে ভাসছে। সাত সকালের এই সংবাদ যেন স্তব্ধ করে দিল গোটা দেশ, চলে গেলেন ভারতের নাইটেঙ্গেল লতা মঙ্গেশকর। শনিবার বেলা থেকেই বাড়তে থাকে উদ্বেগ। আইসিইউ-তে চিকিৎসা চলছিল লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) । কয়েকদিন আগেই মিলেছিল করোনা নেগেটিভ (COVID 19 Negetive) হওয়ার খবর। কিন্তু নিউমনিয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন সুর-সম্রাজ্ঞী। দিদির স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পুজোয় ব্যবস্থা করেছিলেন আশা ভোঁসলে, রেখেছিলেন কড়া নজরদারিতে, সব খবর নিজেই শেয়ার করতেন তিনি। শেষকৃত্যেও প্রতিটা পদে পদে পাশে ছিলেন আশা ভোঁসলে, ২৪ ঘণ্টা পার, ভারতের নাইটেঙ্গেল ঘুমের দেশে।