সংক্ষিপ্ত

কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হওয়ার পরেও লতা মঙ্গেশকর স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেন। সরল ব্যক্তিত্ব দিয়েও তিনি বিশেষ পরিচিতি পেয়েছেন। তাহলে জেনে নিন স্বরা কোকিলার কাছে লতা মঙ্গেশকরের কত সম্পত্তি ছিল।

দেশাত্মবোধক গান থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রে তাঁর গাওয়া গান দিয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। আজ সারা দেশ লতা মঙ্গেশকরকে স্মরণ করছে এবং তাঁর ক্যারিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবন পর্যন্ত অনেক কিছুই বিষয়েই জানতে চাইছে। এসব আলোচনায় তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক তথ্যও প্রকাশ্যে আসছে। এদিকে, তাঁর সম্পদ (Lata Mangeshkar Net Worth) নিয়েও আলোচনা চলছে । কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হওয়ার পরেও লতা মঙ্গেশকর স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেন। সরল ব্যক্তিত্ব দিয়েও তিনি বিশেষ পরিচিতি পেয়েছেন। তাহলে জেনে নিন স্বরা কোকিলার কাছে লতা মঙ্গেশকরের কত সম্পত্তি ছিল।

লতা মঙ্গেশকরের বাবা দীনানাথ মঙ্গেশকর যখন মারা যান, তখন লতা মঙ্গেশকরের বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। এরপর পরিবারের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। শৈশব থেকেই, লতা মঙ্গেশকর গানের জগতে উন্নতি করছিলেন এবং তাঁর বাবা তাঁকে গানের তালিম দিতেন। এই কারণে অল্প বয়সেই প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং নানা প্রতিকূলতাঁর মুখোমুখি হয়ে নিজের কণ্ঠের জোরে বিশেষ পরিচিতি তৈরি করেন।

যদিও তাঁর সম্পত্তি সম্পর্কে অনেক রিপোর্ট রয়েছে, তবে এটি বিশ্বাস করা হয় যে তাঁর মোট সম্পদ প্রায় ১১১ কোটি টাকা। তবে কিছু প্রতিবেদনে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি পর্যন্ত বলেও দাবি করা হয়েছে। ক্যাকনলেজের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, তাঁর মাসিক আয় ৪০ লাখ টাকা এবং বার্ষিক আয় প্রায় ৬ কোটি টাকা। পিতাঁর মৃত্যুর পর কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়েই তিনি অনেক কিছু অর্জন করেছেন বলে শোনা গিয়েছে।

মুম্বাইতে বিলাসবহুল বাড়ি এবং অনেক গাড়ি 

লতা মঙ্গেশকরের বাড়ির কথা বলতে গেলে, তিনি মুম্বইতে 'প্রভু কুঞ্জ'-এ থাকতেন, যা এত বড় যে প্রায় ১০টি পরিবার সেখানে আরামে থাকতে পারে। প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি প্রথমে একটি Chevrolet গাড়ি কিনেছিলেন, তাঁরপরে তিনি একটি Buick কিনেছিলেন এবং এখন তাঁর গাড়িগুলির মধ্যে Mercedes, Chrysler-এর মতো গাড়িও রয়েছে।

লতা মঙ্গেশকর তাঁর গান দিয়ে সবার মন জয় করেছেন। এর পাশাপাশি অনেক পুরস্কারও জিতেছেন এই গায়ক। লতা ১৯৬৯ সালে পদ্মভূষণ, ১৯৮৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে পদ্মবিভূষণ, ২০০১ সালে ভারতরত্ন এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য ইয়ার ওয়ান টাইম পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এগুলি ছাড়াও, লতা পরিচয় চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮২ সালে, ১৯৭৪ সালে কোরা-কাগজ চলচ্চিত্রের জন্য এবং ১৯৯০ সালে লেকিন চলচ্চিত্রের জন্য অর্থাৎ ব্লোব্যাক গায়িকার জন্য ৩ বার জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন।