বলিউডের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক তথা গায়ক বাপ্পি লাহিড়ি সকলের কাছেই সুপরিচিত। গানের জগতের বাইরেও তার অন্য একটি পরিচিতি হয়েছে। আর সেই কারণটা সকলেই জানেন। তার প্রচুর সোনার গয়না পরার জন্যই তিনি সকলের কাছে পরিচিত। এই কারণেই তাকে বলিউডের 'গোল্ডেন ম্যান' বলা হয়। সোনা ছাড়া বাপ্পি দা-কে যেন কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সবসময়েই সোনার হার, ব্রেসলেট, আংটি ছাড়া দেখা যায় না তাকে। বাপ্পি দার (Bappi Lahiri ) মৃত্যুর পরে অনেকের মাথাতেই প্রশ্ন আসতে পারে যে এত কেজি কেজি সোনা কোথায় গেল। তবে বাপ্পি দার জন্য এগুলো সোনা ছিল না, ছিল সৌভাগ্যের প্রতীক। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়ে বাপ্পি লাহিড়ি হলফনামায় জানিয়েছিলেন, তার কাছে ৭৫৪ গ্রাম সোনা রয়েছে। এর পাশাপাশি ৪.৬২ কিলোগ্রাম রূপোর গয়নাও রয়েছে। এছাড়াও ৪ লক্ষ টাকার একটি হিরের আংটিও রয়েছে (Bappi Lahiri Passes Away)। এত সোনা কোথায় গেল, কার কাছেই বা রয়েছে বাপ্পি লাহিড়ির সোনার হার, ব্রেসলেট, লকেট, আংটি, জুতো, রোদচশমা, ঘড়ি, টুপি, সোনার পেয়ালা। এবার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন বাপ্পি লাহিড়ির ছেলে বাপ্পা লাহিড়ি।
সঙ্গীতজগতে আরও এক ইন্দ্রপতন। আচমকাই সকলকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন বলিউডের গোল্ডেন ম্যান বাপ্পি লাহিড়ি। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মুম্বইয়ের ব্রিচ-ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলিউডের গোল্ডেন ম্যান বাপ্পি লাহিড়ি (Bappi Laরhiri ) । মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল মাত্র ৬৯ বছর। ডিস্কো কিং-এর মৃত্যুতে সকলেই ভেঙে পড়েছেন। গায়ক- সুরকারের মৃত্যুতে সকলেই শোকস্তব্ধ। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বাপ্পি লাহিড়ি। গত বছর করোনাতেও আক্রান্ত হয়েছিলেন বাপ্পি দা । অনেকদিন ধরেই অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন বাপ্পি দা। একটানা ২৯ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও এবার আর শেষরক্ষা হল না। বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুতে সঙ্গীতজগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বলিউডের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক তথা গায়ক বাপ্পি লাহিড়ি সকলের কাছেই সুপরিচিত। গানের জগতের বাইরেও তার অন্য একটি পরিচিতি হয়েছে। আর সেই কারণটা সকলেই জানেন। তার প্রচুর সোনার গয়না পরার জন্যই তিনি সকলের কাছে পরিচিত। এই কারণেই তাকে বলিউডের 'গোল্ডেন ম্যান' বলা হয়। সোনা ছাড়া বাপ্পি দা-কে যেন কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সবসময়েই সোনার হার, ব্রেসলেট, আংটি ছাড়া দেখা যায় না তাকে। বাপ্পি দার (Bappi Laরhiri ) মৃত্যুর পরে অনেকের মাথাতেই প্রশ্ন আসতে পারে যে এত কেজি কেজি সোনা কোথায় গেল। তবে বাপ্পি দার জন্য এগুলো সোনা ছিল না, ছিল সৌভাগ্যের প্রতীক। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়ে বাপ্পি লাহিড়ি হলফনামায় জানিয়েছিলেন, তার কাছে ৭৫৪ গ্রাম সোনা রয়েছে। এর পাশাপাশি ৪.৬২ কিলোগ্রাম রূপোর গয়নাও রয়েছে। এছাড়াও ৪ লক্ষ টাকার একটি হিরের আংটিও রয়েছে (Bappi Lahiri Passes Away)। এত সোনা কোথায় গেল, কার কাছেই বা রয়েছে বাপ্পি লাহিড়ির সোনার হার, ব্রেসলেট, লকেট, আংটি, জুতো, রোদচশমা, ঘড়ি, টুপি, সোনার পেয়ালা। এবার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন বাপ্পি লাহিড়ির ছেলে বাপ্পা লাহিড়ি।
আরও পড়ুন-অজয় দেবগণ থেকে সোনু সুদ, ভগৎ সিং-য়ের চরিত্রে ঝড় তুলেছিলেন যে অভিনেতারা
আরও পড়ুন-চোখে চোখ, কোমর জড়িয়ে নুসরতকে কাছে টেনে নিল যশ, রেড হট লুকে শিহরণ তারকা দম্পতির
আরও পড়ুন-ব্রালেট থেকে বিকিনি, হট ক্লিভেজে বুকের খাঁজে নেটদুনিয়ায় আগুন জ্বালিয়েছেন কঙ্গনা
বাপ্পা লাহিড়ি জানিয়েছেন, বাবা সোনা ছাড়া কোনওদিনই বাড়ির বাইরে পা রাখতেন না। এমনকী ভোর ৫ টাতে ফ্লাইট ধরতে গেলেও সোনার গয়না না পরে বেরোতেন না। বাপ্পির ভক্তরা যাতে সেইসব গয়না নিজেদের চোখে দেখতে পারেন সেই কারণে সমস্ত সোনার গয়না সংগ্রহশালায় রাখা হবে। সোনার জুতো, ঘড়ি, রোদচশমা, সোনার হার, ব্রেসলেট, লকেট, আংটি, জুতো, সমস্ত কিছুই রাখা হবে মিউজিয়ামে। সমস্ত সোনার অলংকার তারা সারাজীবন প্রয়াত বাবার স্মৃতির উদ্দেশে গচ্ছিত রেখে দেবে। যাতে বাবা চলে যাওয়ার পরও তার ছাপ রেখে যায় সারাজীবন। বাপ্পি দা সর্বদাই বলতেন, গোল্ড ইজ মাই গড। জানা প্রায় ১ কোটি সোনা ও রূপার গয়না রয়েছে বাপ্পি দার (Bappi Laরhiri ) কাছে। এক সাক্ষাৎকারে বাপ্পি লাহিড়ি জানিয়েছিলেন, 'হলিউডের গায়ক এলভিস প্রেসলির বড় ভক্ত আমি। আমি সবসময়েই তাকে অনুসরণ করতাম। আর মনে মনে ভাবতাম জীবনে যদি কোনওদিন সফল হই তাহলে নিজের অন্যরকম ভাবমূর্তি গড়ে তুলব। আর ঈশ্বরের জন্য সোনা দিয়ে আমি নিজেকে অন্যভাবে গড়ে তুলেছি। হলিউডের গায়ক এলভিস প্রেসলিও সোনার হার পড়তেন, আমিও সেই সোনা দিয়েই নিজেকে আলাদা করে তৈরি করেছি। আগে লোকে ভাবত, আমি সবাইকে দেখানোর জন্য গয়না পরি। কিন্তু সেটা ঠিক না, সোনা আমার কাছে শুভ। তাই আমি সোনা পরি '। যার গানের সুর মুহূর্তে ম্যাজিক তৈরি করত, যার গানের তাল পা দুলে উঠত, যা গানের ছন্দে নেচে উঠত শরীরী হিল্লোল তিনি আজ সকলকে ছেড়ে পরলোকে পাড়ি দিয়েছেন।