আজ বিশ্ব মানবাদিকার দিবস। আজকের এই বিশেষ দিনে ছবির ট্রেলর মুক্তি সবটাই যেন কাকতালীয় ভাবে। সব মিলিয়ে এ যেন এক বিশাল পাওনা। এর থেকে আর উপযুক্ত কোনও দিন হতে পারত না। কথা হচ্ছে মেঘনা গুলজার পরিচালিত তৈরি ছবি 'ছপাক' নিয়ে। আজই মুক্তি পেল ছবির ট্রেলার। এই ছবির হাত ধরেই প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ দীপিকার। এই ছবিই যেন বদলে দিল তার কেরিয়ার গ্রাফ।
আরও পড়ুন-অন্তরঙ্গ মুহূর্তে আরও কাছাকাছি সইফ-করিনা, দেখে নিন চোখধাঁধানো ছবিগুলি...
পরিচালকের কথা মতো বিশ্ব মানবাধিকার দিবসেই মুক্তি পেল বহু প্রতিক্ষিত ছবির ট্রেলার। ২ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের এই ট্রেলার দেখা মাত্রই তোলপাড় হতে থাকবে বুকের ভিতরটা। অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের জীবনের উপর তৈরি হয়েছে এই ছবি । ছবির প্রতিটি পরতে পরতে উঠে আসবে তার লড়াইয়ের কাহিনি। অত্যন্ত স্পর্শকাতর ট্রেলারটিতে দেখা যাচ্ছে, মুখের চামড়া কুঁচকে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে একটা চোখ, কান দুটো আরও নেই। আয়নায় নিজের এই চেহারাটা দেখে আঁতকে ওঠে মালতী। সে ভাবতেই পারে না এইরকম একটা ঘটনা তার পুরো চেহারাটাকে এভাবে বিকৃত করে ফেলবে। নিমেষের মধ্যে সবকিছু যেন তছনছ হয়ে যায়। কোনওভাবেই মেনে নিতে পারে না সেইদিনের ঘটনাটা। তারপর অবশেষে সব কিছু ভুলে মালতী বেরিয়ে আসে। এরপরই শুরু হয় নতুন লড়াই। এভাবে তার লড়াই উঠে এসেছে ছবির ট্রেলারে। যা দেখা মাত্রই আপনিও শিউরে উঠবেন। দেখে নিন ট্রেলরটি।
আরও পড়ুন-বিয়ের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই, ঘর ভাঙল বাঙালি অভিনেত্রী শ্বেতার...
গ্ল্যামার, আলোর ঝলকানি সব কিছু দূরে রেখে দীপিকার এই চরিত্র দেখে দর্শকদের মনে ঝড় উঠবে। অ্যাসিড আক্রান্ত হয়েও জীবনে হার না মেনে মনের জোরকে হাতিয়ার করে কীভাব জীবন যুদ্ধে জয়ী হবে মালতী তারই গল্প বলবে 'ছপাক'। বাস্তবে অ্যাসিড হামলার পর লক্ষ্মীর লড়াই থেমে থাকে নি। একটি সাক্ষাৎকারে লক্ষ্মী জানিয়েছেন, 'সিনেমার দুনিয়া যত রঙিন, বাস্তবে কিন্তু ততটাও নয়। মোট ৭ টা সার্জারির পরও আগের এখনও সুন্দর চেহারা পাননি লক্ষ্মী আগরওয়াল'। পরিচালক মেঘনাও জানিয়েছেন, 'দীপিকা ছাড়া আর কোন অভিনেত্রী একটা প্যাশন নিয়ে মালতীর চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে পারত বলে তিনি মনে করেন না।' লক্ষ্মী ওরফে মালতীর চরিত্রে কতটা যথাযথ দীপিকা এখন এটাই দেখার। ২০২০ সালে প্রথম মাসেই মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।