বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার ধর্মেশ, তবুও বাবা উপার্জন করেন চায়ের দোকান থেকে

  • 'ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স' ঘুরিয়ে দিয়েছিল তাঁর ভাগ্যের মোড়
  • আর্থিক সমস্যা কাটিয়ে আজ ধর্মেশ ইয়েলান্ডে অন্যতম সেরা ডান্সার, কোরিওগ্রাফার
  • খোলসা করলেন নিজের সাফল্যের কাহিনি
  • জানালেন, তাঁর বাবা এখনও চায়ের দোকান থেকে রোজগার করেন

Asianet News Bangla | Published : Dec 13, 2020 4:56 PM IST

'ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স'র দ্বিতীয় সিজনের অডিশন দিতে এসেছিলেন ধর্মেশ ইয়েলান্ডে। বিচারকের আসনে তখন গীতা, রেমো ডিসিউজা এবং টেরেন্স লুইস। ধর্মেশের হাবভাব দেখে তাঁকে তেমন পাত্তা দেননি কেউই। তবে গান শুরু হতেই ধর্মেশের থেকে আর চোখ সরাতে পারলেন না বিচারকরা। সেই থেকে হিপহপ, ব্রেক, ফ্রিস্টাইলের নয়া পেল নয়া সংজ্ঞা। ধর্মেশের ভাগ্য বদলে গেল রাতারাতি। 

সিজের বিজেতা না হলেও তিনি জিতলেন সকলের মন। রেমো ডিসিউজার আশীর্বাদে 'এবিসিডি' ছবিতে পেলেন অভিনয়ের সুযোগ। সেখান থেকেই এখন ধর্মেশ বড় মাপের কোরিওগ্রাফারদের মধ্যে একজন। দেশের জনপ্রিয় ডান্স রিয়্যালিটি অনুষ্ঠান 'ডান্স প্লাস'-এ রেমোর সঙ্গে বিচারকের আসনে বসেছেন ধর্মেশ। আর্থিক সমস্যা কাটিয়ে ধর্মেশ যে এই জায়গায় পৌঁছতে পারবে তা তিনি স্বপ্নেও ভাবেননি। পৌরসভা থেকে এক সময় ধর্মেশের বাবার দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। তখন ধর্মেশ বেশ ছোট। চায়ের দোকান খুলে সেখান থেকে দিনে ৫০-৬০ টাকা রোজগার হত তাঁর বাবার। 

আরও পড়ুনঃদিতিপ্রিয়ার গাঢ় ঠোঁটের নেশায় বুঁদ সাইবারবাসী, চাউনিতে মনে ঝড় তুললেন 'রাসমণি'

 

 

তবুও কষ্ট করে ধর্মেশের পড়াশোনার জন্য টাকা জমাতে থাকেন তিনি। নাচের প্রতি ধর্মেশের টান দেখেই তাঁকে এক নাচের প্রতিষ্ঠানেও ভর্তি করান ধর্মেশের বাবা। তারপর ১৯ বছর বয়সে কলেজ মাঝপথেই ছেড়ে দিয়ে পিওনের চাকরি করতে করতেই বাচ্চাদের নাচ শেখাতেন ধর্মেশ সেখান থেকে মাসে ১৬০০ টাকা উপার্জন করতেন তিনি। পরবর্তীকালে বিভিন্ন ছবিতে ব্যাকআপ ডান্সার হিসেবেও কাজ করতে শুরু করে ধর্মেশ। বুগি ভুগিতে অংশগ্রহণ করে পাঁচ লাখ টাকা পুরষ্কার পান। সেই টাকা দিয়ে বাবার সমস্ত ঋণ সোধ করেন। তবে তার কয়েক বছর পর ফের সমস্যার সম্মুখীন হন তিনি। ডান্স ইন্ডিয়া ডান্সের মঞ্চই ছিল তাঁর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। আজ ছেলে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গেলেও বাবা নিজের চায়ের দোকান থেকে উপার্জন করেন। ধর্মেশের বারণ করার পরও তিনি এই দোকান ছাড়তে রাজি নন। কোনও কিছুকে মাঝপথে না ছাড়াপ এই অদম্য জেদ তিনি তাঁর বাবার থেকেই পেয়েছেন বলে মনে করেন। 

Share this article
click me!