'খবরটা কেন মিথ্যে হল না, ৫৩-তেই ও চলে গেল', কেকে-র মৃত্যতে ফেলে আসা মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করলেন গৌতম

চলে গেল তরতাজা একটি প্রাণ। আর কোনওদিনই ফিরে আসবে না। হাসতে হাসতে সুরের জাদুতে সকলকে ভুলিয়ে আলবিদা বলে চলে গেল সঙ্গীতশিল্পী কেকে। কেকে-র আকস্মিক প্রয়াণে সকলেই শোকস্তব্ধ। তারকা থেকে সঙ্গীতশিল্পী সকলেই তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। কেউই যেন এটা মেনে নিতে পারছেন না। এমন একটা খবর যা ভাবলেই চোখের কোণে জলে ভরে উঠছে।  গায়কের মৃত্যুসংবাদে গোটা বিশ্ব যেন ভারাক্রান্ত। কেন এমনটা হল, সকলের গলাতেই একটাই আফসোস।  কেকে-র মৃত্যুতে প্রচন্ড ভেঙে পড়েছেন কলেজের বন্ধু তথা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং কেকের প্রাক্তন ব্যান্ডের সদস্য গৌতম চিকারমানে। 

Riya Das | Published : Jun 2, 2022 5:09 AM IST / Updated: Jun 02 2022, 04:38 PM IST

চলে গেল তরতাজা একটি প্রাণ। আর কোনওদিনই ফিরে আসবে না। হাসতে হাসতে সুরের জাদুতে সকলকে ভুলিয়ে আলবিদা বলে চলে গেল সঙ্গীতশিল্পী কেকে। কেকে-র আকস্মিক প্রয়াণে সকলেই শোকস্তব্ধ। তারকা থেকে সঙ্গীতশিল্পী সকলেই তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। কেউই যেন এটা মেনে নিতে পারছেন না। এমন একটা খবর যা ভাবলেই চোখের কোণে জলে ভরে উঠছে।  গায়কের মৃত্যুসংবাদে গোটা বিশ্ব যেন ভারাক্রান্ত। কেন এমনটা হল, সকলের গলাতেই একটাই আফসোস।  কেকে-র মৃত্যুতে প্রচন্ড ভেঙে পড়েছেন কলেজের বন্ধু তথা অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং কেকের প্রাক্তন ব্যান্ডের সদস্য গৌতম চিকারমানে। 

কেকের বন্ধু গৌতম চিকারমানে প্রথম সারির সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, 'আমাদের কলেজের ৬ জনের একটি ব্যান্ড ছিল। সেই ব্যান্ডের ড্রামার এবং প্রধান গায়ক ছিল কেকে। ও ছিল আমাদের প্রাণশক্তি। তবে ওর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে কোনওমতেই বিশ্বাস করতে পারিনি। খবরটা পেয়ে নানা জায়গায় যাচাই করতে শুরু করেছিলাম। আর এটাই ভাবছিলাম আমি এখনই ভুল  প্রমাণিত হব। তবে আমি আর ভুল প্রমাণ করতে পারি নি। এই খবরটা শুনে সারারাত ঘুমোতে পারিনি। প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। গৌতম  আরও জানান একটা সময় যখন কলেজে একসঙ্গে পড়তাম তখন আমরা ক্লাস কম করতাম আর গানের চর্চা বেশি করতাম।কলেজে গিয়ে ক্লাসে না গিয়ে আমরা প্রথমেই গ্রিনরুমে চলে যেতাম। প্রতিযোগিতা থেকে রক শো, কলেজের লনে বসে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা চলত। অন্যান্য কলেজের ফেস্টিভ্যালে গিয়েই আমরা পুরস্কার নিয়ে এসেছি। আমরা এক রাতে গান গেয়ে ৫০০০ টাকা উপার্জন করেছিলাম। আর তখন মনে হয়েছিল আমরাই রাজা। কেকে কলেজে থাকাকালীন বেশিরভাগই ইংরাজি গান করত কিন্তু মুম্বইতে আসার পর পুরোপুরি হিন্দি গানে ফোকাস করে।  সেইসমস্ত ফেলে আসে মুহূর্তগুলো বড় বেশি করে নাড়া দিচ্ছে। মাত্র তো ৫৩, এখনই তো যাওয়ার সময় হয়নি'।  

 

 

সঙ্গীতজগতে ফের বড় ধাক্কা। গায়ক কেকে-এর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বলি ইন্ডাস্ট্রি। তিনি আর নেই। এখন যেন কথাটা ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না। সকলের মন খারাপ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কেকে। এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। কী নিষ্ঠুর নিয়তি। এটা যেন কেউই মেনে নিতে পারছেন না। কলকাতায় গান গাওয়া যে জীবনের শেষ গান হবে তা মনে হয় কেউ ভাবকে পারেননি। বলিউডের এই বিখ্যাত গায়কল নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের মধ্যেই অসুস্থ বোধ করছিলেন। তারপর হোটেলে ফিরতেই আরও যেন বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন।  মঙ্গলবার রাতেই নিউমার্কেটের পাঁচতারা হোটেল থেকে গায়ককে একবালপুরের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসা করার কোনও সুযোগই দিলেন না কেকে, নিশব্দেই  যেন সকলেকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেলেন কেকে। গায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে সঙ্গীতমহলে।

আরও পড়ুন-'খবরটা কেন মিথ্যে হল না, ৫৩-তেই ও চলে গেল', কেকে-র মৃত্যতে ফেলে আসা মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করলেন গৌতম

আরও পড়ুন- কেরিয়ারের শুরু থেকে প্রথম রেকর্ডিং সবটাই কেকে-র হাত ধরে, বন্ধুর শেষ বিদায়ে আবেগঘন বার্তা শান্তনু মৈত্রর

Share this article
click me!