২৭ দিনের মাথায় আবারও অবস্থা খারাপের পথে ছিল লতা মঙ্গেশকরের। তড়িঘড়ি তাঁকে আইসিইউ থেকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে, শুরু করা হয় অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট, তবে সেই চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।
শনিবার মধ্যরাতে মেলে স্বস্তির খবর, সবস্থা স্থিতিশীল সুর -সম্রাজ্ঞী লতাজির (Lata Mangeshkar)। এদিন গোটা দেশ জুড়ে প্রার্থনায় যেন সাড়া দিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস, শনিবার বেলাতেই মিলেছিল দুঃসংবাদ। ২৭ দিনের মাথায় আবারও অবস্থা খারাপের পথে ছিল লতা মঙ্গেশকরের। তড়িঘড়ি তাঁকে আইসিইউ থেকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে, শুরু করা হয় অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট, তবে সেই চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। শনিবার রাতেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সেই খবর সকলকে জানিয়েছিলেন আশা ভোঁসলে, রবিবার সলাক পর্যন্ত মেলা খবর অনুযায়ী এখনও ডাক্তারের কড়া নজরদারিতেই রয়েছেন লতা মঙ্গেশকর, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন তিনি। তবে ইতিমধ্যে একাধিক সেলেব থেকে রাজনীতি বিদরা তাঁকে দেখতে হাসপাতাল মুখে হয়েছেন। এদিন শ্রদ্ধা কাপুরকেও দেখা যায় বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে।
রবিবার বেলা থেকেই বাড়তে থাকে উদ্বেগ। আইসিইউ-তে চিকিৎসা চলছিল লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) । কয়েকদিন আগেই মিলেছিল করোনা নেগেটিভ (COVID 19 Negetive) হওয়ার খবর। কিন্তু নিউমনিয়ার সমস্যায় ভুগছিলেন সুর-সম্রাজ্ঞী। টানা ২৭ দিন ধরে চলছে লড়াই। তবে অবস্থার হচ্ছিল উন্নতি, যদিও উন্নতির হার ছিল মৃদু, রবিবার ডাক্তারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অবস্থার অবনতি হচ্ছে লতা মঙ্গেশকরের। তড়িঘড়ি আবারও নিয়ে যাওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। এদিন বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের (Beach Candy Hospital) পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলছে চিকিৎসা, লড়াই চালাচ্ছেন লতা মঙ্গেশকর, চলছে অ্যাগ্রেসিভ থেরাপি, এখনও পর্যন্ত টলারেটিং প্রসিডিউরে সুর-সম্রাজ্ঞী। খবর সামনে আসা মাত্রই বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের সামনে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। নেট দুনিয়ায় ভক্তদের প্রার্থনার পোস্ট মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
আরও পড়ুন- ফিল্ম ফেয়ার ট্রফির লেডি বস্ত্রহীণ, লজ্জায় লাল লতাকে রুমালে মুড়িয়ে ট্রফি দেওয়া হয়
আরও পড়ুন- 'রঙ্গিলা বাঁশি' থেকে 'নিঝুম সন্ধ্যায়', আজও লতার বাংলা গানে নিজেকে হারায় বাঙালি
লতা মঙ্গেশকরের বাড়ি থেকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল, এখানেই তাই বারে বারে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় লতা মঙ্গেশকরকে। কয়েকদিন আগেই তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করে নিয়ে আসা হয়। লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) বয়সের কথা মাথায় রেখে কোনও রকমের ঝুঁকি নিতে নারাজ ছিলেন চিকিৎসকদের টিম (Special Medical Team), তাই তাঁরা স্থির করেছিলেন, ভেন্টিলেশন থেকে বার করে নিয়ে আসা হলেও তাঁকে রাখা হবে আইসিইউ-তেই (ICU)। সূত্রের খবর অনুযায়ী করোনার আক্রান্ত (COVID 19) হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর তাঁর বাড়ির স্টাফের দ্বারাই। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসক, কেবল দ্রুত সুস্থতার দিকে লক্ষ্য রেখেই রাখা হয়েছে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। তবে হঠাৎই ঘটে ছন্দপতন। যদিও বর্তমানে খানিক বিপদ মুক্তি লতাজি। শনিবার রাতে স্বস্তির ঘুম ভক্তমহলের।