'বুদ্ধিমান অপরাধী', ১৪ জুন সুশান্তের ঘরের তালা খোলার পর সিদ্ধার্থের কাণ্ডে বাড়ছে সন্দেহ

Published : Aug 13, 2020, 12:39 PM IST
'বুদ্ধিমান অপরাধী', ১৪ জুন সুশান্তের ঘরের তালা খোলার পর সিদ্ধার্থের কাণ্ডে বাড়ছে সন্দেহ

সংক্ষিপ্ত

সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত ক্রমেই বাড়াচ্ছে জল্পনা ১৩ জুন থেকে বন্ধ ঘরে ঠিক কী ঘটেছিল একাধিক প্রমাণের অভাব যা বদলাতে পারে তদন্তের মোড় পিঠানিকে এবার বুদ্ধিমান ক্রিমিনালের তকমা উকিলের

১৪ জুন দুপুর দেড়টা। হঠাৎই উঠে এসেছিল চাঞ্জল্যকর তথ্য, বান্দ্রার ফ্র্যাটে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। এরপরের ছবিটা সকলের কাছেই স্পষ্ট, গত দুমাস ধরে একের পর এক তদন্তের মোড়, পরিবার মুম্বই সংঘাত, বিহার পুলিশ, মুম্বাই পুলিশ তরজা, থেকে সুপ্রীম কোর্ট সিবিআই... যা কারুর জানা নেই তা হল, ১৪ জুন দুপুর দেড়টার আগে ঠিক কী কী ঘটেছিল। জল্পনা ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছে শেষ ১২ ঘণ্টা। যে সময় উপস্থিত ছিল একমাত্র একজন ব্যক্তি, সিদ্ধার্থ পিঠানি। 

আরও পড়ুনঃ কাজের বিষয় পূর্ণ স্বাধীনতা দিতেন শ্রী, জাহ্নবীকে শুধু একটাই উপদেশ দিয়েছিলেন

সিদ্ধার্থের বয়ান, রেক্চ করা হয়, বিভিন্ন সাংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখও খোলে সিদ্ধার্থ পিঠানি, যা তৈরি করছে প্রশ্ন, সন্দেহ। আগে জেনে নেওয়া যাক, শেষ কয়েক ঘণ্টায় সিদ্ধান্তের কথায় ঠিক কী কী ঘটেছিল- প্রথম সুশান্তের ঘরে তিনিি বেল বাজিয়েছিলেন ১১.১৫তে। মেলে কোনও উত্তর। এরপর ১৫ মিনিটের অপেক্ষা। আবারও দরজায় ধাক্কা, মিলছে না উত্তর। এভাবে কেটে যায় প্রায় দে়ড়ঘণ্টা। তখন সিদ্ধার্থ কাছে পিঠে থাকা চাবিওয়ালার খোঁজ শুরু করেন, তিনি হাজির হন আরও ২০ মিনিট পর। এবার তালা খোলা হয়....তিনি চাবিওয়ালাকে নিচে ছেড়ে এসে ঘরে ঢোকেন, সুশান্তকে ঝুলতে দেখেন ও দিদিকে ফোন করে সবটা জানান। ঘরে তখনও নেই কোনও দ্বিতীয় ব্যক্তি। সিদ্ধার্থ একাই সুশান্তকে নামিয়ে ফেলেন। 

 

 

সিদ্ধার্থের এই বয়ানই মেনে নিতে নারাজ সুশান্তের পরিবারের উকিল বিকাশ সিং। তাঁর কথায় ক্রাইম সিন নষ্ট করেছেন সিদ্ধার্থ। কোনও প্রমাণ নেই সুশান্ত ঝুলছিলেন। কেন সিদ্ধান্ত কোনও ছবি না তুলেই সুশান্তকে নামায়। দরজা খোলার জন্য যখন এতই তারা, বন্ধুর জন্য চিন্তা, তখন কেন চাবি পাওয়ার পর তিনি তড়িঘড়ি ঘরে ঢুকলেন না, চাবিওয়ালাকে নিচে ছাড়তে গেলেন! ১০ মিনিট দূরে ছিলেন দিদি, তাঁর জন্য অপেক্ষা না করে সুশান্তকে কেন নামিয়েছিলেন তিনি! এমনই হাজারও প্রশ্ন তুলে বিকাশ সিং এখন এই আত্মহত্যাকে শুধু আত্মহত্যার তকমা দিতে নারাজ। বরং তিনি সাফ জানিয়েছে সিদ্ধার্থ পিঠানি একজন 'বুদ্ধিমান অপরাধী'র মত কাজ করেছেন। 

এখানেই শেষ নয়, প্রথম থেকেই পিঠানি সুশান্তের পরিবারের পক্ষে ছিলেন। পরবর্তীতে যখন পরিবরের তরফ থেকে তাঁকে মুখ খুলতে বলা হয়, তিনি সেই মেল রিয়াকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, যা রিয়ে পেশ করেছিলেন সুপ্রীম কোর্টে। এফআইআর দায়ের পরই রঙ বদল, যা আরও ভাবিয়ে তুলছে পারিবারিক উকিল বিকাশ সিংকে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

Year Ending 2025: চলতি বছরে ওটিটি-তে ডেবিউ করেন এইপাঁচ স্টার কিডস, দেখে নিন কার ভাগ্য খুলল
রণবীর সিংয়ের 'ধুরন্ধর'-এর OTT স্বত্ব বিক্রি হল কোটি টাকায়, কিনল কোন প্ল্যাটফর্ম?